মিলল সাড়ে ৮ হাজার বছর আগের গয়না, তৈরি হত মানুষের দাঁত দিয়ে
মানুষের দাঁতের এক অদ্ভুত ব্যবহারের খোঁজ। সে নেকলেস হতে পারে বা ব্রেসলেট। এক বিশেষ বিশ্বাস থেকে এটা করা হত। সযত্নে দাঁত লাগানো হত গয়নায়।
টেনিদা বা ঘনাদার মুখে এমন গালগল্প শোনা যেতেই পারত। তাহলে বলা যেত লেখকের সৃজনশীল কল্পনা শক্তির বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু এ তো ঘোর বাস্তব! একদম গবেষকরা একথা জানাচ্ছেন। কী জানাচ্ছেন?
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, তাঁরা মানুষের দাঁতের এক অদ্ভুত ব্যবহারের খোঁজ পেয়েছেন। তাঁরা দেখেছেন একসময়ে মানুষের দাঁত গয়নায় ব্যবহার হত। সে নেকলেস হতে পারে বা ব্রেসলেট। গবেষকরা জানাচ্ছেন সাড়ে ৮ হাজার বছর আগে তুরস্কে মানুষের দাঁত গয়নার বুটি হিসাবে ব্যবহার করা হত।
মানুষের দাঁত গয়নায় কেন? গবেষকেরা দাবি করেছেন, এর পিছনে কারণ ছিল। এক বিশেষ বিশ্বাস থেকে তাঁরা এটা করতেন। সযত্নে দাঁত লাগানো হত গয়নায়।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তুরস্কের কাতালহুক এলাকায় খনন চালিয়ে এই মানুষের দাঁতের গয়নার খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। আপাতত ২-৩টি দাঁত পেয়েছেন তাঁরা। তবে দাঁত যেভাবে পাওয়া গিয়েছে তা থেকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিশ্চিত যে সেগুলি গয়নায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
শুধু মানুষের দাঁত বলেই নয়, সে সময়ে গয়নায় পশুপাখির হাড়ও ব্যবহার হত দেদার। যা একটা বিশ্বাস থেকেও করা হত। তবে ইতিহাস পূর্ব সেই সময়েও কিন্তু মানব সভ্যতায় গয়নার ব্যবহার ছিল এবং সেসব গয়না যেমন তেমন করে তৈরি হতনা। সযত্নে তৈরি করা হত।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা মানুষের যে দাঁতগুলি পেয়েছেন তা তাঁদের মৃত্যুর পরই সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। তাছাড়া দাঁতের চেহারা দেখে তাঁদের অনুমান দাঁতগুলি ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের। যাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা