করোনা ঠেকাতে দেড় কোটি মিঙ্ক মারার সিদ্ধান্ত
করোনা ঠেকাতে ও বিশ্বের সকলের স্বার্থে দেড় কোটি মিঙ্ক মারার সিদ্ধান্ত নিল ডেনমার্ক সরকার। দেশের সব মিঙ্ককেই হত্যা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোপেনহেগেন : দেখতে অনেকটা গিনিপিগ, বেজি আর ভোঁদড়ের মিশ্রণের মত। রং অবশ্য কালো, ধূসর, সাদা, নানারকম হয়। সারা গা নরম তুলতুলে রোমে ঢাকা। প্রাণিটির নাম মিঙ্ক।
মিঙ্কের গায়ের রোমেরই কদর সারা বিশ্বে। যা থেকে তৈরি হয় মিঙ্ক পশম। যার বড় চাহিদা রয়েছে ইউরোপে। তাই ইউরোপে এই মিঙ্কের চাষ হয়। খামার রয়েছে মিঙ্কের।
ইউরোপের কিছু দেশে মিঙ্কের চাষ প্রসিদ্ধ হলেও সারা ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মিঙ্ক চাষ হয় ডেনমার্কে। সেই ডেনমার্কেই এবার শুরু হল মিঙ্ক নিধন।
একটাও মিঙ্ক রেহাই পাবেনা বলেই জানিয়েছে সরকার। মিঙ্ক মারার জন্য পুলিশ থেকে সেনা সকলকে কাজে নামাচ্ছে তারা। বিভিন্ন মিঙ্ক খামারে ঘুরে লক্ষ লক্ষ মিঙ্ক মারা শুরু হয়ে গেছে।
ডেনমার্কে মিঙ্ক রয়েছে দেড় কোটির ওপর। সেই সব মিঙ্কই মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার।
দেশের মানুষের স্বার্থে ও বৃহত্তর অর্থে গোটা বিশ্বের মানুষের স্বার্থে এই নির্মম পথ তাদের বেছে নিতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছে ড্যানিশ সরকার। জোর কদমে মিঙ্ক নিধন চলছে এখন ডেনমার্কে।
অবশ্য মিঙ্ক মারা গত মে মাস থেকেই চলছিল সেখানে। এবার সব মিঙ্কই শেষ করতে ঝাঁপাল সরকার।
কেন এভাবে আপাত নিরীহ এই প্রাণির হত্যা যজ্ঞ শুরু করতে হল ডেনমার্ককে? জানা যাচ্ছে করোনার একটি ধরণ নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। করোনা নিজেকে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন করে নিচ্ছে। যাকে মিউটেট করা বলা হচ্ছে। আর তেমনই করোনার একটি মিউটেট করা ধরণ মিঙ্ককে সংক্রমিত করছে। মিঙ্ক সংক্রমিত হওয়ার কারণে তারা আবার মানুষকে সংক্রমিত করছে।
অর্থাৎ মানুষ থেকে মিঙ্ক সংক্রমিত হচ্ছে। তারপর তারা আবার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে করোনা। ইতিমধ্যেই ডেনমার্কের মিঙ্ক খামারগুলিতে নির্বিচারে মিঙ্ক নিধন চলছে। সব মিঙ্ককেই এই দফায় হত্যা করা হবে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও যেখানে মিঙ্ক রয়েছে তাদের খুঁজে বার করে হত্যা করার কাজ অব্যাহত।