পাত্রের উচ্চতা দেখেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পাত্রীরা
ক্রমশ আশা ছাড়তে বসেছেন যুবক থেকে মধ্য বয়সে পৌঁছে যাওয়া ধর্মেন্দ্র। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর পাত্রী আর পাওয়া গেলনা। তাঁকে দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পাত্রীরা।
প্রতাপগড় (উত্তরপ্রদেশ) : চেষ্টা তো কম হল না। কম বছরও কেটে গেল না। তবু এত চেষ্টা করেও একটা পাত্রী জুটল না কপালে! এ কষ্টটা আর সহ্য হচ্ছেনা তাঁর। এখন তো আশাও প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। আর তাঁর বিয়ে হবে না।
অনেক আশা ছিল আর পাঁচজনের মত তাঁরও বিয়ে হবে। একটা সংসার হবে। কিন্তু তাঁর অতি দারুণ উচ্চতাই সব আশায় জল ঢেলে দিল। তাঁর আত্মীয় পরিজন সকলে উঠেপড়ে লেগেও কোনও পাত্রীকে বিয়েতে রাজি করাতে পারলেননা।
যুবা বয়স থেকে ক্রমে বয়স বাড়তে বাড়তে এখন ৪৫ বছরে এসে ঠেকেছে। এখনও যে পাত্রী দেখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমনটা নয়। তবে ওই দেখাই হচ্ছে। তিনি হাল ছেড়েই দিয়েছেন।
এ জন্মে তাঁর আর বিয়ে হল না, এমনই মনকষ্টে ভুগছেন ধর্মেন্দ্র প্রতাপ সিং। ভারতের সবচেয়ে লম্বা মানুষ। যাঁর নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এও রয়েছে।
তাঁর উচ্চতা এখন ৮ ফুট ২ ইঞ্চি। কারও পাশে দাঁড়ালে পাশের জনকে লিলিপুট বলে মনে হয়। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্রকে সকলেই চেনেন তাঁর উচ্চতার জন্য।
সমাজবাদী পার্টির হয়ে তিনি নির্বাচনের সময় প্রচারেও অংশ নিয়েছেন। প্রচারের সময় অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠেন তিনি। ধর্মেন্দ্রকে এলাকায় চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।
এমএ পাশ ধর্মেন্দ্র-র রোজগারও দাঁড়িয়ে আছে তাঁর ওই উচ্চতার হাত ধরেই। তিনি সারা বছরই দিল্লি থেকে মুম্বই ঘুরে বেড়ান। দিল্লির কনট প্লেস হোক বা মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, ধর্মেন্দ্র যেখানেই যান তাঁকে ঘিরে ধরেন পর্যটকেরা। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে চান। বিনিময়ে ধর্মেন্দ্র পান কিছু টাকা।
অনেক সময় উপহারও জোটে পর্যটকদের কাছ থেকে। এতে সারা বছরের রোজগার হয়ে যায় তাঁর। এবার করোনার কারণে সেই রোজগারেও ভাটার টান। সেইসঙ্গে পাত্রী না জোটার একটা দুঃখ তো রয়েই গেলে দেশে সবচেয়ে লম্বা মানুষটার জীবনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা