দেশেই প্রথম মেলে হিরে, হাজার বছর ধরে ছিল বিশ্বে হিরের একমাত্র যোগানদার
অন্য কোথাও নয়, এদেশেই প্রথম পাওয়া যায় হিরে। তাও যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে। তখন বিশ্ব হিরে কাকে বলে জানত না।

অমূল্য রত্নে ভারত প্রাচীনকাল থেকেই অত্যন্ত সমাদৃত এক ভূখণ্ড। রত্নখচিত চোখ ধাঁধানো রত্নালঙ্কার থেকে প্রাসাদের সিলিং, রাজার মুকুট, সিংহাসন, এমনকি তরোয়ালের হাতলেও থাকত রত্নের সজ্জা।
এই ভারতই হল সেই দেশ যারা গোটা বিশ্বকে হিরে চিনিয়েছে। যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৪০০ বছর আগেই ভারত হিরের কথা জানতে পারে। সে সময় থেকেই মাটির তলা থেকে হিরে তুলে আনার প্রচলন শুরু হয়।
এরপর প্রায় ১ হাজার বছর ধরে বিশ্বকে হিরে চিনিয়েছে ভারত। ভারতের মাটি থেকে উত্তোলন হওয়া হিরে পৌঁছে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তখন বিশ্বের একমাত্র হিরে উত্তোলক দেশ ছিল এই ভারত।
অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্ব জানত ভারতেই সবচেয়ে বেশি হিরে পাওয়া যায়। হিরে জহরতের দেশ ভারতকে প্রথম এই হিরে উত্তোলনে পিছনে ফেলে ব্রাজিল। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকায় হিরের বিপুল ভাণ্ডারের খোঁজ মেলে।
ভারতের কর্ণাটকের কোল্লুর, তেলেঙ্গানার গোলকোন্ডা, মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার মাঝগাওঁয়া, মধ্যপ্রদেশের বান্দার-র খনি থেকে হিরে উত্তোলনের কথা সকলের জানা। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে মূলত মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার মাঝগাওঁয়া খনি থেকেই হিরে উত্তোলন হচ্ছে এ দেশে।

এটা ঠিক যে হিরে উত্তোলনে এখন আফ্রিকা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তবে এটা গোটা বিশ্বে সমাদৃত যে ভারতই সেই দেশ যারা বিশ্বকে হিরে নামক বহুমূল্য রত্নের খোঁজ দিয়েছিল। সেদিক থেকে হিরের ইতিহাসে ভারতের নাম চিরদিন হীরকোজ্জ্বল হয়ে থেকে যাবে।