জটিল অস্ত্রোপচার করে বার হল মারাদোনার মস্তিষ্কের জমাট রক্ত
অস্ত্রোপচার করে বার করে দেওয়া হল মারাদোনার মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্ত। মারাদোনার অস্ত্রোপচার নিয়ে প্রবল উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন মারাদোনার ভক্তেরা।
বুয়েনোস আইরেস : মস্তিষ্কে জমাট বেঁধেছিল রক্ত। দ্রুত তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তিনি দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। ফুটবলের রাজপুত্র তিনি। বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তী হয়ে যাঁর নাম থেকে যাবে ইতিহাসের পাতায়।
সেই মারাদোনার ভক্তের অভাব নেই, বিশ্বজুড়ে অগুন্তি তাঁর ভক্তসংখ্যা। মারাদোনা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। এ খবর তাঁদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।
আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তীকে ভর্তি করা হয়েছিল বুয়েনোস আইরেস শহরের একটি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়।
অস্ত্রোপচার সফলও হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন মারাদোনার মস্তিষ্কে যে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল তা বার করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি এখন ভাল আছেন। অস্ত্রোপচারে কিছুটা রক্ত মারাদোনার বার হয়ে গেছে। তবে তারজন্য সমস্যা হয়নি বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক।
কয়েকদিন ধরেই মারাদোনার শরীর ভাল যাচ্ছিল না। ফলে সোমবার চিকিৎসকের পরামর্শ তাঁর বেশ কিছু পরীক্ষা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি।
এটা দেখার পর আর সময় নষ্ট করা হয়নি। দ্রুত মারাদোনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর মঙ্গলবারই তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। জটিল হলেও অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এ খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁর অনুরাগীরা।
মারাদোনার যখন হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছে তখন হাসপাতালের বাইরে তাঁর অনেক ভক্ত তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে জড়ো হয়েছিলেন। খবর নিচ্ছিলেন মারাদোনা কেমন আছেন।
এর আগেও মারাদোনা ২ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তখনও তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থা থেকে চিকিৎসকেরা সুস্থ করে তোলেন। এছাড়া তাঁর একবার গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারিও হয়ে গেছে। আর এবার তাঁর মস্তিষ্কে জমাট বাঁধল রক্ত।
গত শুক্রবারই ৬০ বছর পার করলেন মারাদোনা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে তিনি কার্যত একার দক্ষতায় আর্জেন্টিনাকে ট্রফি এনে দেন। জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার জন্য সেটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা