ডাইনোসরদের নিয়ে লেখা হবে নতুন ইতিহাস, বদলে গেল পুরনো ধারনা
এতদিন যে তথ্য হাতে ছিল তা পর্যালোচনা করে একটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বদলে দিল সেই ধারনা।
এতদিন ধরা হত ওরা যেমন হিংস্র ছিল, তেমনই ছিল বুদ্ধিমান। রীতিমত বুদ্ধি ধরত। তাদের বুদ্ধি কতটা ছিল তার একটা আন্দাজ দিতে গিয়ে বলা হত ওরা ছিল বাঁদরের মত বুদ্ধিমান। এতদিন ধরে সেটাই জানা ছিল সকলের।
এমনকি বিজ্ঞানী, গবেষকেরাও সেটাই জানতেন। কিন্তু সে ধারনা এতদিনে ভেঙে দিলেন একদল গবেষক। তাঁরা দাবি করেছেন ওদের মোটেও বাঁদরের মত বুদ্ধি ছিলনা। যে নিউরোন সংখ্যা আন্দাজ করে তাদের বুদ্ধি বিবেচনা সম্বন্ধে ধারনা করা হত সেখানেই ভুল থেকে গেছে।
পৃথিবীর বুকে একসময় নানা ধরনের ডাইনোসর ঘুরে বেড়াত। তাদের কিছু ছিল মাংসাশী, কিছু আবার সবুজ খেয়ে বেঁচে থাকত। মাংসাশীরা এখনও যেমন বেশি হিংস্র হয়, তখনও তেমনই ছিল।
এই মাংসাশী ডাইনোসরদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ধরা হয় টিরেক্সদের। টাইর্যানোসরাস রেক্স বা টিরেক্স প্রজাতির এই ডাইনোসরদের যে জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে সেগুলি পরীক্ষা করে তাদের নিউরোন সংখ্যার যে আন্দাজ আগে বিজ্ঞানীরা পেয়েছিলেন তা থেকে মনে করা হয় তাদের বুদ্ধি ছিল বাঁদরের মত।
কিন্তু জার্মানি, কানাডা ও ব্রিটেনের গবেষকদের একটি দল তাদের নতুন গবেষণায় জানতে পেরেছে যে সে তথ্য ভুল ছিল। এত বুদ্ধিও টিরেক্স ধরত না।
তাদের মস্তিষ্কের মাপও যেটা ধরা হয়েছে এতদিন তা ভুল। তাদের মস্তিষ্ক অত বড়ও হতনা। বাঁদর নয়, বরং টিরেক্সদের বুদ্ধি অনেকটা কুমিরের বুদ্ধির সঙ্গে মেলে বলেই দাবি করেছেন গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা