অসতো মা সৎ গময়, তমসো মা জ্যোতির্গময়, মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়
ভারতীয়দের বিশ্বাস এদিন সন্ধ্যায় ঘরে প্রদীপ জ্বালালে অমঙ্গল দূরে থাকে, ঘরে আসেন লক্ষ্মী। উত্তর ভারতে ঘরে ঘরে রঙ্গোলি দেওয়া, প্রদীপ জ্বালানো ও আতসবাজি পোড়ানোকে মাঙ্গলিক হিসাবে ধরা হয়।
কথিত আছে ১৪ বছরের বনবাস পূর্ণ করে দীপাবলির দিন অযোধ্যায় ফেরেন শ্রীরামচন্দ্র। রামচন্দ্রের ফিরে আসার খুশিতে গোটা অযোধ্যাবাসী ওইদিন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে গোটা অযোধ্যাকে আলোয় আলোয় ভরে দেন। সেই থেকেই আলোর উৎসব হিসাবে দীপাবলি পালন হয়ে আসছে।
দীপাবলি আসলে ৫ দিনের উৎসব। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী থেকে এই উৎসবের সূচনা হয়। আর শেষ হয় শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায়। অর্থাৎ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটার দিন।
পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম ও মিথিলায় দীপাবলির দিন দীপান্বিতা কালীপুজোর রীতি প্রচলিত। কিন্তু বাকি ভারতে দিনটি পালিত হয় লক্ষ্মী-গণেশের পুজোর মধ্যে দিয়ে।
দীপাবলি শব্দের অর্থ প্রদীপের সমষ্টি। ভারতীয়দের বিশ্বাস এদিন সন্ধ্যায় ঘরে প্রদীপ জ্বালালে অমঙ্গল দূরে থাকে, ঘরে আসেন লক্ষ্মী। উত্তর ভারতে ঘরে ঘরে রঙ্গোলি দেওয়া, প্রদীপ জ্বালানো ও আতসবাজি পোড়ানোকে মাঙ্গলিক হিসাবে ধরা হয়।
উপনিষদেও দীপাবলির উল্লেখ আছে। সেখানে যে আজ্ঞা রয়েছে তাতে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের কথা অতি সুস্পষ্ট। উপনিষদে বলা আছে, ‘অসতো মা সৎ গময়, তমসো মা জ্যোতির্গময়, মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়, ওঁ শান্তিঃ।। ওঁ শান্তিঃ।। ওঁ শান্তিঃ।।’
অর্থাৎ অসৎ হইতে সত্যে লইয়া যাও, অন্ধকার হইতে আলোয় লইয়া যাও, মৃত্যু হইতে অমরত্বে লইয়া যাও, সর্বত্র শান্তি বিরাজ করুক।
সাধারণত একই দিনে পড়লেও এবার কালীপুজো ও দীপাবলি পড়েছে ভিন্ন দিনে। সারা দেশে সাড়ম্বরে পালিত হবে আলোর উৎসব দীপাবলি।
শুধু হিন্দুদেরই নয়, এদিনটা জৈনদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনেই জৈনধর্মের শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর মোক্ষলাভ করেন। নীলকণ্ঠ ডট ইন পরিবারের পক্ষ থেকে পাঠক-পাঠিকার জন্য রইল দীপাবলির অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!