শব্দবাজি নিয়ে কড়াকড়ির মধ্যেই নিশ্চিন্তে কিনে ফেলুন ভাল সাইজের সুতলি বোমা। কিনে ফেলুন রকেটও। অথবা বেশ পুরু মশলার ফুলঝুরি। তারপর সেসব বাড়িতে এনে ছোটদের হাতে তুলে দিন। নিজেরাও নিন। সন্ধে নামলে আলোয় সেজে ওঠা ঘরে সকলে মিলে আয়েশ করে খাওয়া শুরু করুন। এখন সুতলি বোমা দিয়ে খাওয়া শুরু করবেন, নাকি রকেট, নাকি ফুলঝুরি দিয়ে সেটা নিতান্তই ব্যক্তিগত পছন্দ।
অবাক হওয়ার মত কথা তো! সুতলি বোমা, রকেট কিনে কেউ খায় নাকি! চিরকাল তো এসব পোড়ানোই হয়েছে। যার ব্যবহার এখন শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণের কারণে কড়াকড়িভাবে বন্ধ। এগুলো কিন্তু চুটিয়ে বিক্রি হচ্ছে দোকানে। কেননা এগুলো হুবহু সুতলি বোমা বা রকেট বা ফুলঝুরির মত দেখতে হলেও, আদপে এগুলো আতসবাজি নয়। এগুলো এক একটি মিষ্টি। আর এমনই কিছু মিষ্টি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন লখনউয়ের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
দোকানে সাজানো অবস্থায় দেখে অনেকেই নাকি অবাক হচ্ছেন। তেমনই দাবি বিক্রেতাদের। তাঁদের দাবি এগুলো দেখে অনেকে জিজ্ঞাসাই করে ফেলছেন যে মিষ্টির দোকানে আজকাল বাজিও বিক্রি হচ্ছে নাকি! এতটাই ঠিকঠাক দেখতে করা গেছে এগুলোকে। সুতলি বোমা তৈরি হয়েছে সাদা চকোলেট আর টফি দিয়ে। ফুলঝুরি তৈরি হয়েছে চকোলেট দিয়ে। ওপরে রয়েছে তবকের মত জিনিস। যা দিয়ে ফুলঝুরির মত দেখতে করা হয়েছে। রকেটও দেখে বোঝার উপায় নেই যে ওটায় আগুন দিলে আকাশে যাবেনা, ওটা আসলে একটা সুস্বাদু ফিউশন মিষ্টি।
সুতলি বোমার দাম শুরু হয়েছে ৮৫ টাকা দিয়ে। প্রতি পিস পরছে ৮৫ টাকা। ফুলঝুরি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা পিস দামে। এগুলো রাখার জন্য যে কাচের জার করা হয়েছে তাও দেখতে চোখ জুড়নো। যে কারও ওই জারটা কিনতে ইচ্ছে হবে। বাচ্চাদের মন ভাল করার জন্য প্রতি প্যাকেটের ওপর থাকছে একটি করে ছোট্ট টেডি বেয়ার। আবার শরীর সচেতন ক্রেতাদের জন্য সুগার ফ্রি চকোলেট দিয়ে তৈরি হয়েছে নানা বোমা, রকেট! এছাড়া দিওয়ালীতে উত্তর ভারতের অনেক পরিবারে জুয়া খেলার চল আছে। পরম্পরা মেনেই এটা খেলা হয়ে থাকে। সেই অভ্যাস ত্যাগ করে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের উপহার ক্যাসিনো কাউন্টার বা পোকার চিপস। সবই আদপে কুকিজ। দেখতে অমন। তাতে ওগুলো নেওয়াও হল আবার বদভ্যাস ছাড়াও হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা