কথিত আছে দিওয়ালীর দিনই ১৪ বছরের বনবাস শেষ করে অযোধ্যায় ফেরেন রাজা দশরথের পুত্র শ্রীরামচন্দ্র। শ্রীরামচন্দ্রের অযোধ্যায় ফিরে আসার আনন্দে অযোধ্যাবাসী গোটা শহরকে মাটির প্রদীপ বা দিয়া দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। স্বাগত জানান তাঁদের পছন্দের রঘুনন্দনকে। সেই থেকেই দীপাবলির সূচনা হয়। তারপর থেকে এই দিনটা আলোর উৎসব হিসাবেই সারা দেশে পালিত হয়। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দীপাবলি উপলক্ষে অযোধ্যা শহরে দীপোৎসব পালন করা শুরু করেছেন। এবার সেই দীপোৎসব পালিত হল শনিবার।
এবার দীপোৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অযোধ্যা শহরকে সাড়ে ৫ লক্ষ দিয়া দিয়ে সাজিয়ে তোলা। এসব দিয়া মূলত জ্বালানো হবে সরযূ নদীর দুধারে। দীপাবলি উপলক্ষে দিয়া জ্বালানো আগের বছরও হয়েছে। এবার ৫ লক্ষ ৫১ হাজার দিয়া জ্বলে ওঠার পর তা গিনেস বুকে জায়গা পেতে পারে। এই দিয়া প্রজ্বলন অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে হাজির থাকলেন যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, ফিজির ডেপুটি স্পিকার বীণা ভাটনগর। এই দীপোৎসব কর্মসূচির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার ২২৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
দিনটাকে সামনে রেখে একগুচ্ছ অনুষ্ঠান হয়েছে অযোধ্যায়। স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে শ্রীরামচন্দ্রের অযোধ্যায় ফেরাকে সামনে রেখে এদিন দুপুরেই অযোধ্যা শহরে ট্যাবলো বার হয়। শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি নিয়ে সুসজ্জিত ১১টি ট্যাবলো নিয়ে সাকেত কলেজ থেকে রামকৃষ্ণ পার্ক পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। অনেক প্রদেশের সাংস্কৃতিক শিল্পীরা অংশ নেন। এবার আরও এক মুখ্য আকর্ষণ ছিল ৭টি দেশের রামলীলা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা