১২ লক্ষ প্রদীপে সাজল অযোধ্যা, আকাশে আঁকা হল রামায়ণ
১২ লক্ষ প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠল অযোধ্যা নগরী। বিশ্বরেকর্ড গড়ে সরযূ নদীর ধারেই জ্বলল ৯ লক্ষ প্রদীপ। ছিল দুরন্ত সব আকর্ষণীয় শো।
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এটাই ছিল সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। তাই আয়োজনে ত্রুটি ছিলনা। অযোধ্যা নগরী ৫ বছর ধরেই সেজে ওঠে এই দিন।
লঙ্কা জয় করে সীতাকে নিয়ে এই দিনেই অযোধ্যায় ফিরে আসেন ভগবান রাম। সেই উপলক্ষে সেদিন অযোধ্যাবাসী গোটা নগরকে আলোয় আলোয় সাজিয়ে তুলেছিলেন। সেই দিনকে মাথায় রেখে এদিন অযোধ্যা সেজে উঠল নববধূর সাজে।
সরযূ নদীর ধারে সন্ধে নামতেই জ্বলে ওঠে ৯ লক্ষ মাটির প্রদীপ। অযোধ্যা জুড়ে মোট ১২ লক্ষ প্রদীপ এদিন প্রজ্বলিত হয়। সরযূর ধারে এই ৯ লক্ষ প্রদীপ জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হল নয়া বিশ্বরেকর্ড।
এক জায়গায় একসঙ্গে এতগুলি প্রদীপ এর আগে জ্বলেনি কখনও। সরযূ তটকে এদিন কার্যত চেনাই যাচ্ছিল না। ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই প্রদীপ জ্বালান।
প্রদীপ জ্বালানোই ছিল প্রধান আকর্ষণ। সেই সঙ্গে এদিন সন্ধেয় আকর্ষণের অভাব ছিলনা। অমাবস্যার প্রাক্কালে অন্ধকারকে ঢেকে ফেলে অযোধ্যা ঝলমল করছিল। ছিল চোখ ধাঁধানো লেজার শোয়ের আয়োজন।
রাম কি পৈদি ঘাটে এই লেজার শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া ৫০০টি ড্রোনের সাহায্যে আকাশেই অ্যানিমেশনের মধ্যে দিয়ে এদিন ফুটিয়ে তোলা হয় রামায়ণ যুগের নানা মুহুর্ত।
ছিল ৩ডি হলোগ্রাফিক শো। তাই একদিকে যেমন অযোধ্যা সেজেছিল প্রদীপের আলোয়। তেমনই অন্যদিকে অযোধ্যায় ছিল নানা নয়া প্রযুক্তির কেরামতি।
এদিন আরও আকর্ষণ ছিল রাম ও সীতার চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতাদের হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা। রাম ও সীতার অযোধ্যায় ফেরাকে তুলে ধরা হয় এর মধ্যে দিয়ে।
এঁরা আকাশপথে এসে রামকথা পাঠে অংশ নেন। এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা