Feature

দিওয়ালীর দিনটি বৌদ্ধদের একাংশের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ, সে এক অন্য কাহিনি

আলোর উৎসব দিওয়ালী যে কারণে পালিত হয় তা কিন্তু বৌদ্ধদের মধ্যে এই দিনটি পালনের কারণ নয়। সে কাহিনি একদম আলাদা।

রামায়ণে ভগবান রাম লঙ্কায় গিয়ে এক প্রবল যুদ্ধে রাবণকে পরাজিত করেন। রাবণকে পরাজিত করে তিনি সীতাকে সঙ্গে করে অযোধ্যা ফেরেন। ১৪ বছরের বনবাস পর্বও শেষ হয় তখনই।

ভগবান রাম অযোধ্যার রাজা। তিনি এতদিন পর ফিরছেন। তাই অযোধ্যার মানুষ তাঁকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার জন্য সেদিন সন্ধে নামার পর গোটা অযোধ্যা প্রদীপের আলোয় ভরিয়ে তোলেন।


প্রতিটি বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হয় রামের ফিরে আসার আনন্দে। সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই আলোর উৎসব দিওয়ালী পালিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। এ তো গেল হিন্দুদের প্রচলিত কাহিনি। কিন্তু দিওয়ালীর দিনটা আলাদা করে পালন করেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরাও।

বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের একাংশের কাছে এই দিনটা অন্য কারণে পালনীয়। সম্রাট অশোক ছিলেন অত্যন্ত নির্মম স্বভাবের। কলিঙ্গ যুদ্ধে প্রবল রক্তপাত কিন্তু তাঁর জীবন বদলে দেয়।


খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে রাজত্ব করা সম্রাট অশোকের মন এমনভাবে বদলে যায় যে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে নৃশংসতার পথ ত্যাগ করেন। অহিংসার পথ গ্রহণ করেন। এই দিওয়ালীর দিনেই অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। এমনটাই বিশ্বাস করেন বজ্রযান বৌদ্ধরা।

বৌদ্ধধর্ম প্রচারে অশোক ছিলেন অন্যতম অগ্রগণ্য সম্রাট। বিভিন্ন প্রান্তে বৌদ্ধধর্মের প্রসার সম্রাট অশোকের হাত ধরেই সম্ভব হয়েছিল। তাই বৌদ্ধদের এই বজ্রযান সম্প্রদায়ের কাছে তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম।

সম্রাট অশোক যেহেতু দিওয়ালীর দিনেই বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন বলে বিশ্বাস, তাই দিওয়ালীর দিন বজ্রযান বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা বিশেষভাবে দিনটি পালন করেন। এটা বৌদ্ধধর্মের কোনও উৎসব নয় ঠিকই, তবে বজ্রযান বৌদ্ধরা দিনটিকে যথেষ্ট সমাদরের সঙ্গে পালন করে থাকেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button