একেই বলে ভালোবাসা, নিষ্ঠা! নাহলে ৪৬ বছরে ৩০ হাজার বার্গার খাওয়া মোটেই মুখের কথা নয়। সর্বাধিক বার্গার খাদক হিসেবে নিজের নাম দ্বিতীয়বারের জন্য গিনেস বুকে নথিভুক্ত করাও সহজ বিষয় নয়। এমনিতে সুস্বাদু হলেও ‘ফাস্ট ফুড’ বার্গার যদি রোজ খাওয়া যায়, তাহলে হজমে গোলমাল হতে বাধ্য। সেখানে দিনে অন্ততপক্ষে ২টো করে বার্গার গলাধঃকরণ করে হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়ে বিশ্ববাসীর চোখ কপালে তুলে দিলেন ডন গোর্স্কে।
৬৪ বছরের ডন একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াওপন কারাগারে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন তাও অনেক বছর হল। কিন্তু বার্গার ভোজনের কর্তব্য থেকে একদিনের জন্যও অবসর নেননি তিনি। যখন তিনি পরিণত যুবক, তখন থেকেই বার্গারের রসনায় ডুব দেন ডন। বার্গার বিক্রিতে আবার বিশ্বের বাজারে নিজেদের ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে ম্যাকডোনাল্ডস বা ম্যাকডি। ৪৬ বছর ধরে ম্যাকডোনাল্ডস থেকেই বার্গার কিনে খেয়েছেন ডন। প্রতিবার বার্গার কিনেছেন, আর তার রসিদ রেখেছেন নিজের কাছে প্রমাণ হিসেবে। ১৯৭২ সালের ১৭ মে থেকে থেকে নিত্য এই কাজ করে চলেছেন। লক্ষ্য ছিল একটাই। গিনেস বুকে নাম তোলা।
এই ক’বছরে কোনও কোনও দিন একসঙ্গে ৪-৫টা বার্গারও খেয়ে নিয়েছেন ডন। কোনওদিন হয়তো ৮টি বার্গার কিনে তার মধ্যে খান দুয়েক দোকানে দাঁড়িয়েই সাবাড় করেছেন। আর বাকি বার্গারগুলো বাড়ি এনে ধীরে সুস্থে খেয়েছেন। ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিকম্প যাই ঘটে যাক, বার্গার সেবনে ডনের পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারেনি কোনও কিছুই। ‘মাত্র’ ২৮, ৭৮৮টি বার্গার খাওয়ার রেকর্ড গড়ে ২০১৬ সালে প্রথমবার গিনেস বুকের বিচারকদের চমকে দিয়েছিলেন ডন। মার্কিন মুলুকের ‘বিগ ম্যাক ড্যাডি’-র এবারের ‘টার্গেট’, ৪০ হাজার বার্গার খাওয়ার শিখর স্পর্শ করা। তাতে যদি ওজন বা কোলেস্টেরল বাড়ে বাড়ুক। লোকে আড়ালে পাগল বলে বলুক। হজম ক্ষমতা থাকতে থাকতে ইচ্ছাপূরণটা করে নিতে হবে। এটাই একমাত্র লক্ষ্য।