সব সমীক্ষা, বিতর্ককে কাল্পনিক প্রমাণিত করে হোয়াইট হাউসের দখল নিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। যদিও চূড়ান্ত ভোটের আগে পর্যন্তও অধিকাংশ সমীক্ষার দাবি ছিল ট্রাম্পকে পিছনে পেলে এগিয়ে আছেন হিলারি। কার্যত হিলারি জিতেই গেছেন এমন কথাও ফলাও করে প্রচার হচ্ছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। মুখোমুখি বিতর্কেও ট্রাম্পকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন হিলারি। এমন কথাও খবরের কাগজের পাতা জুড়ে ঝলমল করছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুপচাপ হাতিতে ছাপ দিয়ে নিজেদের মতামত পরিস্কার করে দিল। প্রমাণ করে দিল সমীক্ষা কতটা কাল্পনিক। একআধ ভোট নয়, ট্রাম্প এদিন কার্যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখেই পড়েননি। বরং সহজ জয় পকেটে পুরেছেন তিনি। ভোটের ফলাফল। ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৭৬টি। অন্যদিকে হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে ভোট পড়েছে ২১৮টি। তফাতটা বিশাল।
এদিন ফল ঘোষণার পর মার্কিন এটিকেট মেনেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। পাল্টা হিলারিকেও তাঁর অবদানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিরকাল মনে রাখবে বলে জানান ট্রাম্প। প্রথম জীবনে একজন টিভি তারকা। তারপর সেখান থেকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সাফল্য দিয়ে দেশের অন্যমত ধনীর তকমা পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পই হলেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি এর আগে কোনও সরকারি দফতর বা মার্কিন সেনাবাহিনীতে চাকরি না করেও হোয়াইট হাউসের নতুন বাসিন্দা হতে চলেছেন। এদিন জয়ের পর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি সব মার্কিন নাগরিকের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার স্বার্থ তাঁর কাছে সবার আগে হলেও অন্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে চান তিনি। আমেরিকার বেকারত্ব সমস্যা সমাধানেরও প্রতিশ্রুতি শোনা গেছে তাঁর গলায়। এমনকি যাঁরা তাঁকে এর আগে কখনও সাহায্য করেননি তাঁদের কাছেও আগামী দিনে পরামর্শের জন্য শরণাপন্ন হবেন তিনি বলে এদিন জানান ট্রাম্প। মার্কিন নিবাসী ভারতীয়রা ট্রাম্পের জয়ে খুশি হবেন বলেই মনে করছেন সকলে। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, জয়ের পর ভাল ভাল কথা বলার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। এখন দেখার বাস্তবে ট্রাম্প কতটা সফল মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন।