২০০৬ সালের জুনে ওনার সাথে আলাপ হয় আমার। সেই আলাপ গিয়ে পৌঁছয় ঘনিষ্ঠতায়। যৌনসঙ্গমের আগে উনি মাংসের টুকরো আর স্ম্যাশড আলু অর্ডার করতেন। কিন্তু কখনোই মদ্যপান করতেন না। বেশ কিছুক্ষণ ওঁর সাথে কথাবার্তা চলত। কেমন যেন তখন ওঁকে মনমরা লাগত। ঘণ্টাখানেক কথা হত। তারপর দৈহিক সম্পর্ক। উনি সেই কারণে আমাকে টাকাও দিতে চাইতেন। আমি তা নিতাম না। কারণ, টাকার জন্য নয়, ভালোলাগা থেকে আমি ওঁর সাথে ‘সেক্স’ করতাম। ৮ পাতা জুড়ে এভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের ‘বিস্ফোরক’ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্যারেন ম্যাকডুগাল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একসময়ের সাড়া জাগানো প্লেবয় মডেলের দাবিতে শোরগোল পড়ে গেছে মার্কিন মুলুকে।
২০০৬-এ অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া। ক্যারেনের দাবি, সেইসময় তাঁকে টানা ১ বছর শয্যাসঙ্গিনী করে রেখেছিলেন ট্রাম্প! তাঁর আরও দাবি, ট্রাম্প তাঁকে সঙ্গে করে নানা জায়গায় নিয়ে যেতেন। একবার বিশ্বখ্যাত গলফ খেলোয়াড় টাইগার উডসের সঙ্গেও ক্যারেনের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের সঙ্গেও তাঁর আলাপ হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ক্যারেন। প্রাক্তন প্রেমিক ট্রাম্প তাঁকে একটি ফ্ল্যাট উপহার দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ৪৬ বছরের মডেল।
ট্রাম্পের সাথে ক্যারেনের মধুর সম্পর্ক ২০০৭ সালে শেষ হয়ে যায়। গত শুক্রবার ‘নিউ ইয়র্কার’ নামের একটি ট্যাবলয়েড সেই বিতর্কিত সম্পর্কের ইতিকথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। সেই খবর একসময় অন্য একটি ট্যাবলয়েডে মোটা টাকার বিনিময়ে ক্যারেন বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠছে। তাঁর সেই বিক্রিত কপি সামনে এনে সাড়া ফেলে দেয় ‘নিউ ইয়র্কার’। পর্নস্টার স্তেফানি ক্লিফোর্ডের মত ক্যারেনের দাবিকেও অবশ্য ‘ভুয়ো’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র।