বিশ্বের অন্যতম পৈশাচিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস প্রধান আল বাগদাদি নাকি ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর এক মানুষ। যার মাথায় দাম ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার। যাকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার নাগাল পাওয়া যেত না। যাকে বিশ্বের এক নম্বর ওয়ান্টেড হিসাবে পরিগণিত করা হত। সেই বাগদাদি মরবার সময় কাঁপতে শুরু করে। কাঁদতে থাকে। তারপর কাপুরুষের মত আত্মঘাতী হয়। এমনই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার রাতে সিরিয়ায় একটি বিশেষ অপারেশন চালায় মার্কিন সেনা। সেখানেই মার্কিন সেনা তাকে কোণঠাসা করে ফেললে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ করে মারা যায় বাগদাদি।
আইএস প্রধান বাগদাদির মৃত্যু রীতিমত বড় সাফল্য হলেও সকলেই তা নিশ্চিত কিনা সে বিষয়ে উদগ্রীব ছিলেন। সেই আশঙ্কা দূর করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি রবিবার জানান, বাগদাদি খতম। মার্কিন সেনা অপারেশনে তার মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ায় একদম বাগদাদি যেখানে গা ঢাকা দিয়ে ছিল সেই ডেরায় পৌঁছে যায় মার্কিন সেনা। সেখানে পরপর বিস্ফোরণে বাগদাদির আশপাশে থাকা জঙ্গিদের খতম করে। তারপর বাগদাদিকে তাড়া করে।
চারিদিক থেকে ঘেরা হয়ে যাওয়ার পর বাগদাদি তার ৩ সন্তানকে নিয়ে একটি টানেলে ঢুকে পড়ে। কিন্তু টানেলে শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে সে। মার্কিন সেনা যখন তাকে পুরো নাগালে পেয়ে গেছে তখন কাঁদতে থাকে সে। ট্রাম্পের দাবি, সে সময়ে এই কুখ্যাত নৃশংস সন্ত্রাসবাদী সারমেয়ের মত কাঁপতে থাকে, কাঁদতে থাকে। অবশেষে যখন বোঝে কিছু আর করার নেই। তখন নিজের গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক বোঝাই পোশাক ফাটিয়ে দেয়। বিস্ফোরণে তার তো মৃত্যু হয়ই। সেইসঙ্গে তার ৩ সন্তানেরও টানেলেই মৃত্যু হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, বাগদাদির মত সন্ত্রাসবাদী নেতার মৃত্যু আইএসকে অনেকটাই দুর্বল করে দেবে। বিশ্বের বহু নিরীহ নারী, পুরুষ, শিশু আইএস হত্যালীলা থেকে রেহাই পাবেন। প্রসঙ্গত ২ মাস আগেই একটি ভিডিও বার্তায় বাগদাদি তার অনুগামীদের আহ্বান জানায় তারা যেন বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাস জোরদার করে। বাগদাদির মৃত্যু সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-কে অনেকটাই দুর্বল করল বলে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা