হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না দিলে প্রত্যাঘাতের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ভারত-মার্কিন সুসম্পর্ক নিমেষে ভুলে ট্রাম্প ভারতকে হুঁশিয়ার করেছেন
মূলত ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসাবেই ব্যবহৃত হয় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের বাতের চিকিৎসাতেও এর ব্যবহার সুপরিচিত। ওষুধটাও যে খুব দুষ্প্রাপ্য তা নয়। খুব সহজে তৈরি হয়। সহজে পাওয়াও যায়।
কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর এই ওষুধ নিয়ে এখন টানাটানি পড়েছে। আর এমন টানাটানি পড়েছে যে তথাকথিত ভারত-মার্কিন সুসম্পর্ক নিমেষে ভুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে হুঁশিয়ার করেছেন এই ওষুধ তাঁদের না দিলে ভারতকেও এর জবাবের জন্য তৈরি থাকতে।
গত ফেব্রুয়ারিতেই যে ট্রাম্প ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেছেন। যে ট্রাম্পকে ভারতের তরফে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরম বন্ধু সেই ট্রাম্প কিনা এখন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে ভারতকে সরাসরি হুঁশিয়ার করে বসলেন!
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধটি করোনা রোগী তো বটেই এমনকি যেসব চিকিৎসক করোনা রোগী দেখছেন, করোনা রোগীর পরিবারের লোকজনকেও দেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
এদিকে ভারতে ক্রমশ বাড়ছিল এই রোগ। ফলে ভারত সরকার এই ওষুধের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কারণ দেশে এই ওষুধ কত লাগবে সেটাই পরিস্কার নয় এখনও।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ার করার পরই ভারত সরকার এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। সে সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা রোখার ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার হিসাবে সামনে আসতে পারে। তাই তিনি আগেই ভারতের কাছে এই ওষুধ চেয়েছেন।
ভারত হল এমন দেশ যারা বিশ্বের ৭০ শতাংশ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি করে। প্রতি মাসে ভারত ৪০ টন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি করতে সমর্থ।
কিন্তু এক্ষেত্রে কাঁচামালের একটা অংশ আসে চিন থেকে। ফলে সেই যোগান কতটা সুলভে পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এই অবস্থায়। কারণ চিনও করোনার জেরে ভাল অবস্থায় নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা