নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কাশ্মীর
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার নেপথ্যে রয়েছে ভারত যোগ।
নিউ ইয়র্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তির জন্য প্রস্তাব করলেন নরওয়ের এক সাংসদ। ফলে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে এবার নাম উঠে গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও। তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত হওয়াটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আগামী নভেম্বরেই মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যে নির্বাচনে অন্যতম মুখ ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ভোটে লড়ছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে। যেখানে সম্ভবত জায়গা পেতে চলেছে তাঁর এই নোবেল শান্তির জন্য মনোনয়ন।
কেন তাঁকে মনোনীত করা হয়েছে? নরওয়ের সাংসদ জানিয়েছেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ডোনাল্ড ট্রাম্প দৌত্য করেছেন। এটা তাঁর পত্রে উল্লেখ করেছেন নরওয়ের সাংসদ। তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে ডোনাল্ড ট্রাম্প যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও তাঁর পত্রে প্রথমেই জায়গা পেয়েছে ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী-র মধ্যে দৌত্যের কথা। তারপর আরও কি কি ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর এই ভূমিকা পালন করেছেন তা জানাতে গিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যা ও সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ট্রাম্পের দৌত্যের কথা।
নরওয়ের সাংসদ কাশ্মীরে নিয়ে দৌত্যের কথা লিখলেও বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার কথা ট্রাম্প বললেও তাতে রাজি হয়নি ভারত সরকার। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পের সামনেই জানিয়েছিলেন যে ভারত-পাকিস্তান সমস্যা মেটাতে তিনি অন্য কোনও তৃতীয় দেশকে কষ্ট দিতে চান না। বিষয়টি তাঁরা অর্থাৎ ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নিতে সক্ষম।
এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সময় এমনও জানান যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাকি তাঁকে নিজেই পাকিস্তানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। যদিও এই দাবি নাকচ করে দেয় ভারত। জানিয়ে দেয় এমন ধরনের কোনও অনুরোধ ট্রাম্পকে করা হয়নি।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন ট্রাম্পের যদি দৌত্য জনিত কোনও সাফল্য থাকে তবে তা একটাই, ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী-র মধ্যে মধ্যস্থতা করানো। যাকে ট্রাম্পের কূটনৈতিক সাফল্য বলে ধরা হচ্ছে। যা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি ফেরাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা