World

ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাঙলেন তবু মচকালেন না

ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশেষে ভাঙলেন। তবে মচকালেন না। বাইডেনের জয়ে আঙুল তুলে দিলেন তিনি। তবু ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার স্বীকারটুকু করে নিলেন।

নিউ ইয়র্ক : বাইডেনের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হেরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জেতেন জো বাইডেন। আমেরিকা এখন জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের সরকারের প্রতি অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে।

এদিকে বাইডেনের কাছে হারটা মেনে নিতে পারেননি ট্রাম্প। গণনা শুরুর পরও তিনি জোরাল গলায় দাবি করেছিলেন তিনিই জিতছেন। কিন্তু ৩ দিনের টানটান উত্তেজনার ভোট গণনার পর শেষ হাসি হাসেন বাইডেন। আর হার ঘোষণা হতেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন তিনি হারেননি। ভোট এখানেই শেষও হয়নি। এখনও অনেক কিছু বাকি।


ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে দাবি করে তিনি আদালতেও যান। তবে তাঁর দাবি আদালতের কাছেও বড় একটা গুরুত্ব আদায় করতে পারেনি।

ভোটের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন ভোটে কোনও কারচুপি হয়নি। সব কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। আর সেই নির্বাচনে হার হয়েছে ট্রাম্পের। তার পরেও ট্রাম্প হারটা মেনে নেননি। অবশেষে তা মেনে নিলেন এবার।


ট্রাম্প ট্যুইট করে যা লিখলেন তাকে বাংলায় বলা হয় ভাঙলেন তবু মচকালেন না। ট্রাম্প লিখলেন বাইডেন জিতেছেন তবে নির্বাচনে রিগিং হয়েছে। এই প্রথম ট্রাম্প বললেন বাইডেন জিতেছেন। এটা অনেককে স্বস্তি দিয়েছে। তবে একটা খিঁচও রেখে দিলেন। জানালেন ভোটে জিতলেও তা সঠিকভাবে নাকি জিততে পারেননি জো। ভোটে রিগিং হয়েছে।

ট্রাম্প না মানতে চাইলে কী হবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিন্তু জো বাইডেনের জয় ঘোষণার পরই তাঁকে অভিনন্দন জানান। জানান বাইডেনের নেতৃত্বে থাকা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হওয়ার কথা। তাঁর পরম বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেনের জয় তখনও কিন্তু মেনে নেননি।

বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়া বাকি। কিন্তু তার আগেই সমস্যা তৈরি করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বাইডেনের আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু তথ্য ট্রাম্প প্রশাসন দিতে রাজি হয়নি। যা মার্কিন মুলুকে প্রশাসন চালানোর জন্য জরুরি।

গত শনিবার ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বাইডেন সমর্থকদের মুখোমুখি হাতাহাতি হয়। ঘটনায় ২০ জন গ্রেফতার হন। বেশ কয়েকজন আহতও হন। ফলে জিতেও বাইডেনের জন্য প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে শাসনভার গ্রহণ করে চালানোকে কঠিন করে তুলছেন ট্রাম্প। হয়তো এই পথকেই তিনি শেষ কামড় হিসাবে বেছে নিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button