SciTech

বাঁদরের মত দেখতে বলে এরা কিন্তু বাঁদর নয়, ভুল করবেননা

দেখে বাঁদরের মত মনে হতেই পারে। খুব ভুলও নয়। হওয়াটা অস্বাভাবিকও নয়। কিন্তু ভাল করে দেখলে ভুল ভেঙে যাবে। জানেন কার কথা বলা হচ্ছে।

সহজে এদের দেখা মেলেনা। সর্বত্রও মেলেনা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের গায়ের সবুজ বনানীতে এদের দেখা মেলে। আবার শর্ত হল সেখানটা মেঘে ঢাকা এলাকা হতে হবে। একটু স্যাঁতস্যাঁতে। এই এত শর্ত পূরণ হলে তবেই এদের দেখা মেলে। আবার দেখা মিললেও আচমকা দেখে বাঁদরের মুখ বলে মনে হতে পারে।

ভাবতে পারেন বাঁদরটা আপনার দিকে চেয়ে আছে। সত্যিটা কিন্তু তা নয়। আসলে এটি একটি ফুল। এর নাম মাঙ্কি অর্কিড। যার আবার বৈজ্ঞানিক নাম ড্রাকুলা সিমিয়া।


ল্যাটিন শব্দ লিটল ড্রাগন থেকে ড্রাকুলা শব্দটি নেওয়া হয়েছে। আর বাঁদরের মুখের সঙ্গে মিলের কারণে সিমিয়া। এই ফুল কিন্তু সহজে পাওয়া যায়না। এই উচ্চতায় যদি দেখা মেলেও তাহলেও তা কদিচ কখনও।

মূলত ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, পেরু এই ৩ দেশেই এই মাঙ্কি অর্কিড দেখতে পাওয়া যায়। যা দেখার জন্য অনেক মানুষ সেইসব পাহাড়ি জায়গায় পৌঁছে যান যেখানে এই মাঙ্কি অর্কিডের দেখা মেলে।


এগুলি অন্য গাছের গায়ে হেলান দিয়ে ফোটে। এরা কার্যত পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ। এদের নিজেদের কোনও মূল মাটিতে প্রবেশ করেনা। তাই গাছের ডালের গায়ে এদের দেখা মেলে।

মাঙ্কি অর্কিডের দর্শনে যেমন বিশেষত্ব তেমনই তার গন্ধে। এ ফুল থেকে এক ফলের গন্ধ বার হয়। এগুলির গন্ধ অনেকটা পাকা কমলালেবুর মত হয়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button