বিমানবন্দরে প্রবল ব্যস্ততা। কেউ বার হচ্ছেন। কেউ বা বিমান ধরতে ছুটছেন। এই অবস্থায় দুবাই বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালে এক মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। ওই ভারতীয় মহিলা যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। তাঁর অবস্থা দেখে কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন অন্য যাত্রীরা। কিন্তু ওই অবস্থায় তাঁদের করণীয় কী সেটাই ঠাওর করতে পারছিলেন না সহযাত্রীরা।
টার্মিনালের এক জায়গায় ভিড় জমতে দেখে সেখানে দ্রুত হাজির হন বিমানবন্দরের হানান হুসেন মহম্মদ। তিনি নিজে মহিলা। হয়ত সেই ভরসাতেই তিনি ওই ভারতীয় মহিলাকে কোনওক্রমে ধরে বিমানবন্দরের নিরীক্ষণ ঘরে নিয়ে যান।
সেখানেই প্রসব যন্ত্রণা ওঠা ওই মহিলা তাঁর সন্তানের জন্ম দেন। তাঁকে সন্তানের জন্ম দিতে সাহায্য করেন ওই ইন্সপেক্টর। এদিকে সন্তান ভূমিষ্ঠ তো হল। কিন্তু সে নিঃশ্বাস নিচ্ছে না কেন? এখানেও ত্রাতার ভূমিকা পালন করলেন ওই ইন্সপেক্টর। তিনিই সদ্যোজাতকে সিপিআর দেওয়া শুরু করেন। অবশেষে তাঁর সিপিআর কাজে দেয়। শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাস শুরু হয়। তারপরই মা ও সদ্যোজাতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এমন এক অসামান্য মানবিক কাজের জন্য হানান হুসেন মহম্মদকে দুবাই বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা পুলিশের প্রধান আলি আতিক বিন লাহেজ সম্মানিত করেন। একাধারে তাঁর মানবিক দিককে কুর্নিশ জানানো হয়। পাশাপাশি তারিফ করা হয় মা ও সন্তানকে বাঁচাতে তাঁর পেশাদার মানসিকতাকে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)