বাঙালির তো পায়ের তলায় সর্ষে। অবশ্য শুধু বাঙালি বলি কেন, গোটা ভারতই ঘুরতে ভালবাসে। আবার ভারতে বিদেশি পর্যটকেরাও ঘুরতে আসেন সারা বছর। সে দেশি হন বা বিদেশি, পর্যটকদের কাছে সবসময়ই বন্যপ্রাণ আকর্ষণীয়। ফলে তাঁরা সুযোগ পেলেই অরণ্যের টানে পৌঁছে যান বিভিন্ন অভয়ারণ্যে। তেমনই এক প্রসিদ্ধ অভয়ারণ্য উত্তরপ্রদেশের তরাই এলাকার দুধওয়া ন্যাশনাল পার্ক। এই জাতীয় উদ্যানে ব্যাঘ্র সংরক্ষণে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে এই অভয়ারণ্য পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হচ্ছে। কারণ বর্ষার সময়টা দেশের সব অভয়ারণ্যই প্রায় বন্ধ রাখা হয়।
দুধওয়া ন্যাশনাল পার্কে বহু পর্যটক হাজির হন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও এখানে প্রবেশ করা যায়। এই যে আগামী ১৫ নভেম্বর এই ন্যাশনাল পার্ক সাধারণ মানুষের জন্য খোলা হচ্ছে সেখানে প্রবেশ কিন্তু আর আগের মত করে হবে না। এখানে প্রবেশ করতে চাইলে প্রথমে একটি বন্ডে সই করতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে যে এই অরণ্যে ঘোরার সময় যদি কোনও অঘটন ঘটে তবে তার জন্য কেবলমাত্র তিনিই দায়ী থাকবেন। এই মর্মে কাগজে সই করতে রাজি হলে তবেই মিলবে প্রবেশাধিকার।
এখন থেকে পর্যটকরা এখানে এলে প্রথমে তাদের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বন্ডের বিষয়টি বোঝানো হবে। তারপর সব শুনে কাগজে সই করতে হবে। এটা অফলাইন যেমন হবে, তেমনই অনলাইনেও পর্যটকরা বন্ড ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ? ওই অভয়ারণ্যের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই অভয়ারণ্যে অনেক নেপালের হাতি আছে। হাতিগুলি দল বেঁধে থাকে। মানুষের ভিড় বেশ হলে তারা রেগে যায়। আর অনেক পর্যটক তাদের দেখার জন্য খুব কাছে চলে যান। যাতে হাতির পাল রেগে যে কোনও সময় তাঁদের ক্ষতি করতে পারে। এই বন্ডে সই করা মানে পর্যটকেরা এখানকার নিয়মকানুন মেনে চলার অঙ্গীকারও করছেন। পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা