এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল বাঘ দেখার খরচ
বাঘ দেখা, পশুপাখিদের দেখার জন্য নানা অভয়ারণ্যে তো পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। তেমনই একটি অভয়ারণ্যে এবার বাঘ ও পশুপাখি দেখার খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল।
শীতের পরশ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে শহরে, গ্রামে। আর শীত মানেই তো প্রকৃতির বুকে সময় কাটাতে মন চাওয়া। উৎসবের রেশ এবার নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বজায় থাকছে। ফলে শীতের ঘোরা শুরু হওয়ার জন্য উৎসব কাটার অপেক্ষা। উৎসব কাটলেই মানুষ শীতের আনন্দে গা ভাসাবেন।
এবার মানুষ যাতে পকেটে চাপ সহ্য না করেও নিশ্চিন্তে প্রকৃতির বুকে সময় কাটাতে পারেন, বাঘ ও অন্য পশুপাখি দেখতে পারেন, সেজন্য এক ধাক্কায় অনেকটা ফি কমিয়ে দিল দুধওয়া জাতীয় অরণ্য কর্তৃপক্ষ।
খরচ এক ধাক্কায় এতটাই কমেছে যে পর্যটকরা অনেকেই এখন দুধওয়াটা ঘুরে আসার কথা ভাবছেন। কতটা কমেছে খরচ? ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে ইকো ট্যুরিজম। খুলে যাচ্ছে নানা অভয়ারণ্যের দরজা।
এতদিন দুধওয়ায় একটি ট্রিপের জন্য পর্যটকদের মাথাপিছু খরচ হত ৩০০ টাকা। তা এবার অর্ধেক করে ১৫০ টাকা করা হচ্ছে। যেখানে গণ্ডার রয়েছে সেখানে ঢোকার জন্য এতদিন গুনতে হচ্ছিল ৭০০ টাকা। সেটা এক ধাক্কায় কমে এবার গেলে ২০০ টাকা মাথাপিছু খরচ করতে হবে।
এছাড়া গণ্ডার যেখানে রয়েছে সেই এলাকা বা তার বাইরে ২ ঘণ্টা হাতির পিঠে ঘোরার খরচ মাথা পিছু কমে ৫০০ টাকা হয়েছে। সাফারির জন্য যে গাড়ি হয় তাতে এতদিন দিতে হচ্ছে মাথাপিছু ৬০০ টাকা। সেটা কমে এবার দিতে হবে ২০০ টাকা।
অন্যদিকে ৫ বছরের কম বয়সী বা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোনও এন্ট্রি ফি রাখা হয়নি। এক ধাক্কায় ফি এতটা কমে যাওয়ার পর দুধওয়া অভয়ারণ্য ও ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য যে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠতে চলেছে তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা