আজ মহাষষ্ঠী। সকাল থেকেই বারোয়ারি থেকে পাড়ার ঠাকুর, সর্বত্র শুরু হয় বোধন, অধিবাস। অনেকেই পুজোর থালা হাতে হাজির হন প্যান্ডেলে। শাস্ত্রমতে পুজো শুরু হল এদিন থেকে। এটাই সনাতনি রীতি। পাশাপাশি মহাষষ্ঠী মানেই পুজোর ভরপুর আনন্দের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত। এবার দ্বিতীয়া থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমেছেন ঠাকুরদর্শনে। সংবাদমাধ্যম হোক বা লোকমুখে, যেখানেই খবর পেয়েছেন উদ্বোধন হয়ে গেছে, সেখানেই ভিড় জমিয়েছেন মানুষজন। যারফলে মানুষের ভিড় রাজপথ দখল করতে সময় নেয়নি। তৃতীয়া, চতুর্থী বা পঞ্চমী দেখে মনে হয়েছে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী! এমনই মানুষের ঢল নেমেছিল কলকাতার রাস্তায়। মহাষষ্ঠীর কাকভোরেও অনেক বারোয়ারির প্যান্ডেলে হাজার মানুষের ঢল নজর কেড়েছে। অত ভোরে যদি ওই অবস্থা হয়, তবে সন্ধে নামলে কী হবে সেই ভেবে মাথায় হাত দিয়েছেন খোদ উদ্যোক্তারাও। যদিও এতদিনের খাটাখাটনি তো এই মানুষের ভিড়ে মন জয় করাতেই সার্থক। সেকথা বিলক্ষণ জানেন উদ্যোক্তারা।
এদিকে মহাষষ্ঠীর বিকেল নামতেই মানুষের ভিড়োমিটার লাফ দিয়ে বেড়েছে। যত সময় গড়িয়েছে, ততই ভিড় বেড়েছে। এবার অনেকেই সপ্তমী, অষ্টমী বা নবমীতে বৃষ্টির আশঙ্কা করছেন। তাই পুজোর আনন্দটুকু চেটেপুটে উপভোগ করতে বৃষ্টিহীন দিন পেলে সুযোগ হাতছাড়া করছেন না। বছরের এই কটা দিন তো বারবার আসে না। আবার সেই এক বছর পর। এদিকে পঞ্চমী পর্যন্ত ট্রাফিক সামলাতে কার্যত নাকানিচোবানি খাওয়ার পর মহাষষ্ঠীর সকাল থেকে মহানগরীর রাজপথের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ফলে পঞ্চমী পর্যন্ত যে অমানুষিক যানজটে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন, তাঁদের এদিন আর ততটা সমস্যায় পড়তে হয়নি।