সকালের আলো ফোটার আগেই শুরু হয়েছিল তোড়জোড়। ঢাক বেজে উঠেছিল। অনেক বাড়িতেই ভোরে দরজায় দরজায় দুর্গানাম সহ চন্দন, সিঁদুর দেওয়ার প্রথা পালিত হয়। অন্যদিকে বারোয়ারি বা বাড়ির পুজোয় শুরু হয়েছিল নবপত্রিকা স্নানের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। ভোর হতেই ঢাকের বাদ্যিতে বারোয়ারি থেকে বাড়ির পুজোর নবপত্রিকা স্নানে ভরে ওঠে বিভিন্ন গঙ্গার ঘাট। যেখানে গঙ্গা বা অন্য নদী নেই, সেখানে পুকুর বা দিঘিতে নবপত্রিকা স্নান সম্পূর্ণ হয়েছে। এরপর প্যান্ডেলে নবপত্রিকা ফেরার পর শুরু হয় মহাসপ্তমীর পুজো। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পুজোর থালা হাতে মহিলারা হাজির হন। আকাশে বাতাসে তখন শুধুই পুজোর গন্ধ। ঢাকের বাদ্যিতে পুজো এগোয় নিজের নিয়মে।
এদিকে সকাল হতেই রাস্তায় মানুষ ঢল। অনেকেই একটু ফাঁকায় ঠাকুর দেখার চেষ্টায় সকালেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ফলে ভোর থেকেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় নজর কাড়ে। সেই ভিড় যতই বেলা গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে।
মহাসপ্তমী মানেই মধ্যগগনে দুর্গাপুজোর হুল্লোড়। উত্তর থেকে দক্ষিণ চুটিয়ে ঠাকুর দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে প্রাণভরে আড্ডা আর কোনও বাদ বিচারের তোয়াক্কা না করেই হৈহৈ করে পেট পুজো। সেই আদি ঐতিহ্যে এবারও কোনও ভাটা পড়েনি। আবহাওয়া সাথ দেওয়ায় পুজোর মুহুর্তগুলো চুটিয়ে উপভোগ করছে বাঙালি। নীলকণ্ঠ পরিবারের তরফে সকল পাঠক পাঠিকার জন্য রইল মহাসপ্তমীর অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।