মহাষ্টমীর রাতটা পার করলেই মনটা কেমন যেন করে। একটা দিন আর হাতে। রাত পোহালেই বিদায়ের ঘণ্টা। মা ফিরবেন কৈলাসে। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। সেটাই তো নিয়ম। তাই মনকে বুঝিয়ে বাঙালি ফের মেতে ওঠে মহানবমীর হুল্লোড়ে গা ভাসাতে। সকাল থেকেই শুরু হয় নবমী পুজো। তারপর হোম, কুমারী পুজো। অষ্টমীর মত না হলেও অনেক প্যান্ডেলেই তাই এদিন সকাল থেকে পাড়া প্রতিবেশিদের ভিড় নজর কেড়েছে। অষ্টমীর দুপুর থেকে শুরু হওয়া অসুর বৃষ্টি টিপটিপ, ঝিরঝির করে পড়েছে রাত পর্যন্ত। কোথাও একটু বেশি তো, কোথাও কম। বৃষ্টির ধাক্কায় শুরুতে একটু তাল কাটলেও সন্ধের পর সেসব উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় রাস্তায় বেরিয়েছেন মানুষজন। হারিয়ে দিয়েছেন প্রকৃতির বাধাকে।
নবমীর সকাল থেকেও কার্যত আকাশের মুখ ভার। তবে বৃষ্টিটা ছিলনা। হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিলনা। কারণ আকাশের চেহারা বড় একটা সুবিধের ছিল না। অনেকে আবার চেয়েছেন এমনই থাক। খালি বৃষ্টিটা না হলেই হল। এতে গরমটা কমবে। ঠাকুর দেখতে সুবিধে হবে। সবমিলিয়ে পুজোর আনন্দের শেষ দিনটা চুটিয়ে উপভোগ করতে সকাল থেকেই কোমর বেঁধে তৈরি মহানগরী থেকে জেলা।