নবমীনিশি কেটে পরের দিনের সূর্য উঁকি দেওয়া মানেই পুজো শেষের ঘণ্টা। মায়ের বিদায় নেওয়ার পালা। ফিরবেন কৈলাসে। আবার ১ বছরের অপেক্ষা। তার আগে দশমীর সকাল থেকেই শুরু হয় দশমী পুজো। চলে সিঁদুর খেলা। দশমীর সকালের অন্যতম আকর্ষণই বোধহয় এই রাঙা প্রথা। মাকে পান, মিষ্টিতে বরণের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে বাংলার নারী। মুখে হাসি নিয়েও মনের কোণে কোথাও একটা ব্যথা কনকন করতেই থাকে। মায়ের মুখের দিকে চেয়ে অনেকেই মনে মনে বলে ওঠেন আবার এসো মা।
সারা বছরের যাবতীয় দুঃখ, কষ্ট, ক্লান্তি ভুলে এই কটাদিন বাঙালি মেতে ওঠে দুর্গাপুজোর আনন্দে। কত ঠাকুর। কত প্যান্ডেল। পুজোর নিয়ম। উপোষ, ভোগ, পুষ্পাঞ্জলি, আরতি। সেইসঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা আর পেট পুজো। কোনও সময়ের ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। আলো ঢালা পথে আনন্দের স্রোত বুঝতে দেয়না সময় কত হল। মুছে যায় মলিনতা। আট থেকে আশি সকলের জন্যই দুর্গাপুজো একটা অপেক্ষা। আর এসে পড়লে সবটুকু নিংড়ে আনন্দ উপভোগ। বাঙালির সেই প্রাণের পুজোর এবছরের মত ইতি হল বিজয়া দিয়ে।
কলকাতার অনেক পারিবারিক পুজোয় দশমীর দিন ভাসান সনাতনি রীতি। তাই সেখানেও সকাল থেকেই ছিল তোড়জোড়। অনেক বারোয়ারিতেও এই রীতি প্রচলিত। ফলে সেখানেও প্রস্তুতির ছবি ধরা পড়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এবার ভাসানে কোনও দিনই কোনও বাধা নেই। তবে মহরমের দিন ভাসান দিতে গেলে পুলিশের কাছে আগাম অনুমতির কথা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।