Kolkata

নবমীর রাতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে ঠাকুর দেখা বন্ধ করল পুলিশ

মণ্ডপের মধ্যে ঝাড়বাতিতে ধোঁয়া দেখা গেছে। দেখা দিয়েছে স্পার্ক। আগুন লাগতে পারে। ভেঙে পড়তে পারে ঝাড়বাতি। এই অবস্থায় বিঘ্নিত হতে পারে দর্শক সুরক্ষা। সেই যুক্তিকে সামনে রেখে মহানবমীর রাত ১২টার পর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে ঠাকুর দর্শন বন্ধ করার নির্দেশ দিল পুলিশ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো মানেই দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। এবার সেই ভিড় আরও বাড়িয়েছে মায়ের গায়ে ২৮ কেজি সোনার শাড়ি। ফলে দর্শকদের উৎসাহ বাঁধ ভাঙে। নবমীর রাতে ভিড় এতটাই বেড়ে যায় যে পুলিশকে ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয়। তারমধ্যে ঝাড়বাতির ঘটনার পর যদি কোনও গুজব বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে পদপৃষ্ঠের একটা সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে বলেই মনে করছে পুলিশ। তাই তাদের দাবি, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বন্ধ করা হয় ঠাকুর দর্শন।

এদিকে রাতে পুলিশ ঠাকুর দর্শন বন্ধ করার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ার অভিযোগ উঠেছে পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি ঠাকুর দেখতে এসেও না দেখতে পেয়ে ক্ষোভে একাজ করেন দর্শকরাই। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ পুলিশ ইচ্ছে করে ঠাকুর দর্শন বন্ধ করেছে।


এ নিয়ে বিজয়ার সকালে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পোস্টারও দেখা যায়। সকালেও বহু মানুষ ঠাকুর দেখতে হাজির হন এখানে। কিন্তু ঢুকতে না পেরে ক্ষোভ উগরে দেন। পুজো উদ্যোক্তারা বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁদের তরফে কিছু করার নেই। পুলিশ ঠাকুর দেখা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ যদিও সাফ জানিয়েছে, দমকল, সিইএসসি-র কাছ থেকে ছাড়পত্র আনতে হবে পুজো কমিটিকে। তবেই ফের সাধারণের জন্য ঠাকুর দর্শনের অনুমতি মিলবে। এই অবস্থায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে দেশপ্রিয় পার্কের পুজোয় ঠাকুর দেখা প্রবল ভিড়ের চাপে বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button