পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমতে শুরু করেছে। আর তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পুজোর বাজার। শনি বা রবিবার তো বটেই এমনকি মহালয়ার দিনও মধ্য কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা চত্বরে তিল ধারণের জায়গা নেই। কিন্তু এই ভিড় দেখে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে ব্যবসায়ীরা ফুলে ফেঁপে উঠছেন। কারণ ভিড় থাকলেও বিক্রি তেমন নেই বলেই দাবি ধর্মতলা চত্বরের বিভিন্ন দোকান মালিকের। লোকে আসছেন। দেখছেন। দাম করছেন। তারপর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেরিয়ে যাচ্ছেন। এমনই অন্য কথা শোনালেন তাঁরা!
তাঁদের দাবি লোকের ভিড় তো আছে, কিন্তু ক্রেতা নেই। অনেকেই দোকানে আসছেন। দরদাম করছেন। কিন্তু জিনিস কিনছেন না। হগ মার্কেটে গিয়ে দেখা গেল পুরো চত্বর প্রায় শুনশান বললেই চলে। শ্রীরাম আর্কেড সহ বিভিন্ন শপিং মল থেকে ফুটের দোকান, ধর্মতলা চত্বর জমজমাট। শ্রীরাম আর্কেডে কিন্তু অনেকেই দাঁড়িয়ে দোকানের বাইরে। কেউ ব্যস্ত উত্তাল ফোয়ারা দেখতে। কোথাও শোনা গেল ফিসফিসানি দামটা বড্ড বেশি। বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসা করায় তাঁরা বললেন দেখতেই তো পাচ্ছেন পুজোর বাজারের অবস্থা। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে?
বিক্রেতাদের কাছে তার স্পষ্ট জবাব নেই। ক্রেতারা জানালেন, জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি লাগছে। তাই সব জিনিস কেনা যাচ্ছে না। গত বারের থেকেও বেশি এবার জিনিসপত্রের দাম। কি ধরনের পোশাক পছন্দ করছেন ক্রেতারা? অনেকেই বললেন, এটা কলকাতা তাই শাড়ি তো মাস্ট। পাশাপাশি পাশ্চাত্য পোশাকও কেনা হচ্ছে।
তবে কেনাকাটা যাই হোক না কেন খাবারের দোকানগুলিতে যথেষ্ট ভিড় আছে। ঘোরার ফাঁকে কোথাও একটু বসে ঠান্ডা সরবত থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের খাবারের মাধ্যমে রসনাতৃপ্তির কথা ভুলছে না অনেকেই। তবে হাতে আরও কয়েকদিন আছে। শনি ও রবিবার আছে। তাই দোকানিদের আশা হয়তো শেষ মুহুর্তে ভিড় জমার সঙ্গে সঙ্গে কেনাকাটাও জমবে। পুজোর সময়ের কাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশ ঘরে তুলতে পারবেন তাঁরা।