ধীরে ধীরে রূপ বদলাচ্ছে হাতিবাগান মার্কেটের। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শপিং মল। এখন দরদাম করে আর আগের মত পুজোর বাজার করে না বাঙালি। করলেও তা অনেকটাই কমে এসেছে। এখন পুজোয় কোনও শপিং মলে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি ক্যাপশন তো কোথাও একটা নির্দিষ্ট দামের মধ্যে মিলছে একাধিক পোশাক। তাছাড়া কলকাতার প্যাচপ্যাচে গরমে ঠান্ডা ঘরে বাজার করার আমেজই আলাদা। ফলে ভিড় সেদিকেই। তাতে কিছুটা হলেও হতাশ ফুটপাথের ধার ধরে বসা বিক্রেতারা। তাঁদের কাছে ক্রেতার সংখ্যা ক্রমশ কমছে। তবে আগের মতো না চললেও খরিদ্দার যে আছে তা স্বীকার করলেন বিক্রেতারা। এবার আপনাদের বাজার কেমন? উত্তরে বিক্রেতারা জানালেন অনেকেই এখন শপিং মলে যান। তবে একেবারেই যে বিক্রিবাটা নেই তেমন নয়। কিছু মানুষ আসছেন, কিনছেন। চলে যাচ্ছে বিক্রি।
পুজোর মুখে যে ভিড়টা চোখে পড়ার কথা তা ছুটির দিনগুলোয় চোখে পড়লেও বাদবাকি দিনে সন্ধের আগে তেমন ভিড় হচ্ছে না। তবে হাতিবাগান, শ্যামবাজার এমন জায়গা যেখানে সন্ধে নামলে বরাবরই ভিড় বাড়ে। দোকানে দোকানে জ্বলে ওঠে আলো। দোকান থেকে হকার সকলেরই বিক্রি শুরু হয়। এখানে নানা দামের জিনিস পাওয়া যায়। ফলে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জিনিস খুঁজতে উত্তর কলকাতার অনেকেই এই বাজারকে বেছে নেন। এবারও পুজোয় তার অন্যথা হলনা। তবে এটা ঠিক যে তিতলির বৃষ্টি কিছুটা হলেও বুধবার থেকে বিক্রিতে ভাটা ফেলেছে। এই সময়েই তো বিক্রি! তাই এই অকাল বর্ষণকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বিক্রেতারা। অন্যদিকে এই সময়েই পুজোর কেনাকাটা করার পরিকল্পনা নিয়ে যাঁরা এগোচ্ছিলেন, তাঁরাও পড়েছেন বিপাকে। পরিবার নিয়ে নতুন জামাকাপড় কিনতে এসে ভিজে নেয়ে একসা হওয়ার কোনও ইচ্ছে তাঁদের নেই। ফের অপেক্ষা এখন আকাশ পরিস্কার হওয়ার।