একদিকে বিকেল গড়াতেই একের পর এক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হচ্ছে। বেহালা নূতন দল, বরিষা, লোল্যান্ড সহ বিভিন্ন বড় পুজোর উদ্বোধন হল রবিবার। অন্যদিকে পুজোর আগে এটাই শেষ রবিবার। ফলে কার্যত প্যান্ডেল হপিং শুরুর আগে পুজোর শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা সারতে এদিন বাজারগুলোতে উপচে পড়ল ভিড়। জনস্রোত বললেও কম বলা হয়। সকালের বৃষ্টি যতটাই মানুষকে মনমরা করেছিল। দুপুরের পর রোদ উঠতে ততটাই আনন্দে মেতে উঠলেন মানুষজন। অন্তত কেনাকাটাটা করা যাবে।
রবিবার বিকেল গড়াতেই উত্তরের হাতিবাগান-শ্যামবাজার থেকে শুরু করে দক্ষিণের গড়িয়াহাটে মানুষের ঢল নামল। ভিড় সন্ধেয় এতটাই ছিল যে এখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। দোকানগুলিতেও উপচে পড়েছে ভিড়। সবাই যে জামাকাপড় কিনেছেন তা নয়, অনেকে পুজোর জামাকাপড়ের সঙ্গে ম্যাচ করে গয়না, প্রসাধনী কিনেছেন। শহরের ২ প্রান্তের ২ বাজারে যেমন চলেছে চুটিয়ে কেনাকাটা, তেমনই সঙ্গে চলেছে পেটপুজো। দুর্গাপুজোর এও এক আনন্দ। সামনে পুজো সেই আনন্দকে যেন আরও কয়েকগুণ এদিন বাড়িয়ে দিয়েছিল।
নিউ মার্কেটেও এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিলনা। এই চত্বরে এদিন দুপুর থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। যা বিকেল শেষে প্রবল জনস্রোতের গিয়ে দাঁড়ায়। বৃষ্টি কমা যে মানুষকে নতুন উদ্যমে পুজোর কেনাকাটায় উৎসাহ দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। চতুর্থীর দিন আরও একটা ছুটি রয়েছে। গান্ধী জয়ন্তীর ছুটি। ওদিনও বিভিন্ন বাজারে ভিড় জমবে। কিন্তু তখন যেহেতু অনেক পুজো উদ্বোধন হয়ে যাবে এবং কলকাতার মানুষ যেহেতু তৃতীয়া থেকেই রাস্তায় ঠাকুর দেখার জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেন ফলে চতুর্থীতে দোকান বাজার করার চেয়ে ঠাকুর দেখার ভিড় বেশি হতে পারে। আর ঠাকুর দেখা শুরু হয়ে যাওয়া মানে তো পুজো শুরু। ফলে তখন আর নতুন করে কেনাকাটার অবকাশ থাকেনা। তবে এমন নয় যে ওদিন ভিড় জমবে না। তবে পুজোর আগের শেষ রবিবারের চিরন্তন মাহাত্ম্যটাই আলাদা।