অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেছে। শুরু হয়ে গেছে ঠাকুর দেখার পালা। চতুর্থীর সকালে কিন্তু মহানগর মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। এদিন গান্ধী জয়ন্তীর ছুটি থাকায় সকাল থেকেই পরিবার নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন অনেকে। ভিড় এড়াতে সকালের রোদেই বেরিয়ে পড়া। বৃষ্টি কেটে এদিন সকাল থেকেই ঝলমলে রোদ। ফলে রোদ এবং ছুটি চতুর্থীর সকালেই বাঙালিকে শারদ আনন্দে মাতিয়ে দিয়েছে। চুটিয়ে শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল হপিং। বেলা যত গড়িয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে।
দক্ষিণ থেকে উত্তর কলকাতা, সব বড় পুজোতেই মানুষের ভিড় এদিন সকালেই নজর কেড়েছে। এবার আবার মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ১৭ কোটির দুর্গা প্রতিমা তাক লাগিয়ে দিয়েছে। দুর্গা এখানে সোনার পাতে মোড়া। ফলে এমন বহুমূল্য প্রতিমা দর্শন করতে সেখানে তৃতীয়া থেকেই জনজোয়ার। এছাড়া সিঁথি অঞ্চলের ২টি পুজো লোল্যান্ড ও বন্ধুদল-এ মানুষের আসা শুরু হয়ে গেছে। টালা এলাকার পুজোগুলোতেও ধীরে ধীরে ভিড় জমছে। ভিড় জমেছে শ্রীভূমিতেও।
দক্ষিণ কলকাতার মুদিয়ালি থেকে শুরু করে ত্রিধারা, হিন্দুস্তান ক্লাব থেকে শুরু করে একডালিয়া, নাকতলা সর্বত্রই মানুষ পৌঁছতে শুরু করেছেন। আর ঠাকুর দেখার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া দাওয়া অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সেই খাওয়া দাওয়াও চুটিয়ে চলছে তাল মিলিয়ে। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোর ঠাকুর দেখার পালা চতুর্থী থেকেই তুঙ্গে। যা চলবে সেই বিজয়া দশমী পর্যন্ত।