
পুজো এখন মধ্যগগনে। মহাষ্টমী মানেই তো তাই। পুজোর ৪ দিনের মধ্যে যদি আপামর মানুষের কাছে কোনও পুজোর মাহাত্ম সবচেয়ে বেশি হয় তবে তা অবশ্যই মহাষ্টমী। মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দিতে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় তোড়জোড়। তাছাড়া মহাষ্টমীর পুজো দেওয়া তো আছেই। সকাল থেকে উপবাস। তারপর মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি। যার জন্য বঙ্গবাসী অপেক্ষা করে থাকেন সারাটা বছর। মহাষ্টমী মানে অনেক বাড়িতেই ময়দার লুচি, ফুলকপির তরকারি, ছোলার ডাল, চাটনি, মিষ্টি। এমনই বাঁধা মেনু বহু পরিবারে এখনও মানা হয়। আবার অনেক বাড়িতে এদিন খিচুড়ি ভোগ খাওয়ারও রীতি আছে। বহু বারোয়ারিও মহাষ্টমীতে ভোগ খাওয়ার আয়োজন করেছে। যার একটা বাড়তি আকর্ষণ তো আছেই। আর আছে সন্ধি পুজোর টান। হাজার আট প্রদীপে মায়ের আরাধনা। এ এক অন্যই ছোঁয়া। অন্য পরম্পরা। সব বয়সের বাঙালিরই চেষ্টা থাকে সন্ধি পুজোর সময় বাড়ির পুজো বা বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপে হাজির থাকার। সন্ধি পুজোয় হাত জোড় করে মায়ের দিকে চেয়ে থাকা এক অন্য অনুভূতি। আর বছরে একটা দিনের জন্য সেই অনুভূতিটুকু মনপ্রাণ ঢেলে উপভোগ করতে ছাড়েন না কেউই।