চতুর্থী বা পঞ্চমীতেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল ভিড় কীভাবে উত্তর থেকে দক্ষিণের পুজো মণ্ডপ থেকে রাজপথ দখল করছে। ওই ২ দিনে প্যান্ডেলে ঠাকুর থাকলেও পুজো শুরু হয়নি। মহাষষ্ঠীর দিন থেকে কিন্তু পুজোর শুরু। এদিন দেবীর বোধন, অধিবাস। এদিন থেকেই শুরু হয়ে গেল পুজো। সপ্তমীতে মা আসবেন বাপের বাড়ি। তার আগে মহাষষ্ঠীর সকাল থেকেই শহরের রাজপথে মানুষের ঢল নামে। এদিনও অনেক অফিস খোলা ছিল। যাঁদের অফিস যেতে হয়েছে তাঁরা সকালে অফিস গেলেও বিকেলে ছুটির পর প্ল্যান করেন ঠাকুর দেখার।
মহাষষ্ঠীর সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যে ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ জনজোয়ারের আকার নিতে থাকে। এদিন আকাশ ছিল পরিস্কার। ফলে ঝলমলে আকাশে অনেকেই পরিবার নিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। ঠাকুর দেখা, খাওয়া দাওয়া সবই চলেছে চুটিয়ে। মহাষষ্ঠীর সকালই বলে দিয়েছে শহরে এখন শুধুই পুজো। পুজোর মেজাজ একদম পুরোদমে গ্রাস করেছে মানুষজন থেকে চারধারকে।
এদিন যত বিকেল গড়িয়েছে ততই মানুষে ভিড় বাড়তে থেকেছে। মানুষের ভিড়ে ক্রমশ শহরের নামী প্যান্ডেলগুলিতে প্রবেশ সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে মানুষজনকে। তবে সেই ভিড় উৎসাহ কেড়ে নিতে পারেনি। বরং বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গে শহরের রাস্তা দখলে চলে গেছে মানুষের। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের। চারধারে আলো, মাইক, মানুষের কোলাহল আনন্দকে যেন অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।