শুক্রবার হয়েছে ষষ্ঠীর অধিবাস। তারপর শনিবার সপ্তমী পুজো। বলা হয় দুর্গা পুজোর এই ৫ দিনে যত পুজো হয় তার মধ্যে মহাসপ্তমীর পুজোটাই সবচেয়ে বেশি সময়ের। অর্থাৎ সময়সাপেক্ষ পুজো। সকালে কলাবউ বা নবপত্রিকা স্নান সপ্তমীর পুজোর এক অন্যতম অঙ্গ। যা না হলে পুজোটা শুরুই হয়না। ফলে শনিবার সকাল থেকেই বারোয়ারিগুলোর মধ্যে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে।
কলাবউ নিয়ে ঢাক বাজিয়ে গঙ্গা বা কাছাকাছি কোনও নদী বা পুকুরে যাওয়া। তারপর কলাবউ স্নান করিয়ে ফের প্যান্ডেলে। এরপরই শুরু হয় সপ্তমী পুজো। সকালে বিভিন্ন প্যান্ডেলে পুজো তার নিয়ম মেনে যেমন এগিয়েছে, তেমনই বিভিন্ন প্যান্ডেলে সকাল থেকেই ভিড় জমেছে দর্শনার্থীদের।
শুক্রবার ষষ্ঠীর দিন হলেও ওদিন দুপুরেই সপ্তমী তিথি পড়ে গিয়েছিল। যা এদিন দুপুর পর্যন্ত বজায় থাকবে। এরমধ্যেই পুজো সমাপন করতে হবে। তারপর তিথি হিসাবে পড়ে যাবে অষ্টমী তিথি। শনিবার তাই সকাল সকালই বাড়ির পুজো থেকে বারোয়ারি পুজো, সব জায়গাতেই ছিল সাজসাজ রব। কলাবউ নিয়ে দ্রুত গঙ্গায় যাওয়ার তাড়া ছিল। ফলে ভোর থেকেই ঢাকের বাদ্যিতে নবপত্রিকা নিয়ে ব্রাহ্মণ হাজির হয়েছেন গঙ্গার পাড়ে। স্নান করিয়েছেন নবপত্রিকাকে। তারপর রীতি মেনে তা নিয়ে হাজির হয়েছেন প্যান্ডেলে বা পুজো বাড়িতে।
সকাল থেকেই বাবুঘাট থেকে আহিরীটোলা ঘাট, কুঠিঘাট এবং এমন নানা ঘাটে ছিল নবপত্রিকা স্নানের ভিড়। ওই নবপত্রিকা স্নান করে পৌঁছলে তারপরই শুরু হয় মহাসপ্তমীর পুজো। মহাসপ্তমীর পুজো মানেই দুর্গাপুজো মধ্যগগনে। গোটা শহরটাই বুঁদ পুজোর আনন্দে। মহোৎসবে সামিল হতে। ফলে একদিকে যেমন পুজো এগিয়েছে তেমনই মানুষ সকাল থেকই বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। এই তো হাতে গোনা কটা দিন। দেখতে দেখতে শেষ। তারমধ্যে এইটুকু সময় চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করে নেওয়া। তারপর তো ফের সেই ফিরতে হবে বাঁধাধরা রুটিনে। তাই বোধহয় পুজোর এই দিনগুলোয় মানুষ আনন্দটা চেটেপুটে উপভোগ করতে কার্পণ্য করেননা।