Kolkata

আজ মহাষ্টমী, সকাল থেকেই অঞ্জলি, দুপুরে সন্ধিপুজো

পুজো ৫ দিনের। কিন্তু আপামর বঙ্গবাসী যে দিনটায় পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকেন সেটা একবাক্যে মহাষ্টমী। সে সকালের পুষ্পাঞ্জলিই হোক বা সন্ধিপুজো। বাঙালির প্রাণের উৎসবে এই দিনটা বড়ই পুজোময়। সকাল থেকেই প্যান্ডেলে পুজো দিতে হাজির হন সকলে। অষ্টমী পুজোর শেষে শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলি।

এবার তিথি মতে পুরো সকালটাই পাওয়া যাচ্ছে মহাষ্টমীর পুজোয়। তারপর অঞ্জলি। অষ্টমীর অঞ্জলির মন্ত্রে পাড়ায় পাড়ায় সে যেন এক অন্য সকাল। এবার অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলির পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শুরু সন্ধিপুজোর তোড়জোড়। দুপুর ২টো বাজার ঠিক আগে থেকে শুরু সন্ধিপুজো। ফলে এবার উপবাসের ক্ষেত্রে অনেকেই বেছে নিয়েছেন ২টি পুজোকেই। পরপর থাকায় অষ্টমী পুজোয় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পর উপবাস বজায় রেখে সন্ধিপুজোয় পুষ্পাঞ্জলির সুযোগটাও কাজে লাগাতে চেয়েছেন অনেকে।


বহু পরিবারেই এই দিনটায় নিরামিষ খাওয়ার চল আছে। এদিন বাড়িতে ভাত হয়না। লুচি বা পরোটার সঙ্গে ফুলকপির তরকারি, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, মিষ্টি। এও এক আনন্দ। এও পুজোর অংশে পরিণত হয়েছে। পরম্পরা ধরে চলে আসছে এই মেনু।‌ তবে মহাষ্টমী মানেই কিন্তু নিরামিষ। সিংহভাগ মানুষই এই দিনটা নিরামিষের ওপরই থাকেন। ভাত অনেক বাড়িতেই চড়ে না। তবে অনেকে মায়ের অন্নপ্রসাদ হলে তা গ্রহণ করেন। মায়ের ভোগ সবসময়েই অমৃতসম।

মহাষ্টমীতে অনেক বারোয়ারিতেই ভোগের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ফলে দুপুরে পাড়ার সকলে মিলে মায়ের ভোগ খাওয়ার আয়োজন পুজোর আনন্দে অন্য মাত্রা যোগ করে। মহাষ্টমীর সকালে তাই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার ভিড় ছিল অপেক্ষাকৃত কম। তবে বেলা যতই গড়িয়েছে ততই ভিড় জমতে শুরু করেছে। চুটিয়ে ঠাকুর দেখার সুযোগ আর ২ দিন। এদিন আর মহানবমী। তাই পুজো, পুষ্পাঞ্জলি সেরেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ার পরিকল্পনা সকলেরই থাকে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button