
পুজো পৌঁছে গেল প্রায় শেষলগ্নে। আজ মহানবমী। আর একটা দিনের অপেক্ষা। তারপর ফের একটা বছরের অপেক্ষা। মায়ের অপেক্ষায় দিন গোনা। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ থেকে বাড়ির পুজো সর্বত্র শুরু হয় নবমীর পুজো। নবমী পুজোর মূল আকর্ষণ তার কুমারী পুজো ও হোম। নবমীর এই পুজো শেষ মানেই যেন কোথায় একটা বিষাদের সুর বেঁধে দেওয়া। তবে এখনও পুজো বাকি। আর তাই বাকি সময়টুকু চেটেপুটে উপভোগ করে নিতে তৈরি গোটা শহর। এদিন অনেকেই সকাল থেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। অনেকে আবার বিকেলে বার হওয়ার জন্য সকাল থেকেই তোড়জোড় সেরে রাখেন। কারণ নবমী নিশি একাধারে যেমন ভীষণ আনন্দের, তেমনই কোথাও যেন বুকের মধ্যে দুমড়ে ওঠে একটা কষ্ট। দৈনন্দিন জীবনে ফেরত যাওয়ার কষ্ট। আনন্দের আলো নেভার অপেক্ষার কষ্ট। এক বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শুরুর কষ্ট। আর তাই হয়তো এদিনের আনন্দটাও নিংড়ে নেওয়ার আনন্দ। পুজোর শেষ লগ্নে খুশিটা শুষে নেওয়ার চেষ্টা। নবমীর একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে খাওয়া দাওয়া। কব্জি ডুবিয়ে পছন্দের পদে রসনা তৃপ্তি। বারোয়ারিগুলো অনেক জায়গায় খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আবার বাড়িতে বাড়িতে নবমীকে কেন্দ্র করে খাওয়া দাওয়া, নিমন্ত্রণ বাড়তি পাওনা। সব মিলিয়ে নবমী মানেই বোধহয় অবশ্যম্ভাবী বিষাদকে ভুলে থেকে সময়টাকে সবটুকু দিয়ে উপভোগ করার দিন।