দুর্গাপুজো কার্নিভাল হচ্ছেনা, একগুচ্ছ নির্দেশিকাও দিল নবান্ন
এবারও করোনা আবহে দুর্গাপুজো। ফলে সেই আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ঘাটতি থাকছে। এবারও হচ্ছেনা কার্নিভাল। পুজোর দিনগুলোর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিল নবান্ন।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। আর বাকি কটা দিন। তার আগে দুর্গাপুজোয় নিয়মবিধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। মহালয়ার আগের দিন এই নির্দেশিকা জারি হয়।
করোনা এখনও বিদায় নেয়নি। তাই সেকথা মাথায় রেখে সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পুজো প্যান্ডেলগুলিকে যথাসম্ভব খোলামেলা রাখতে হবে। যাতে হাওয়া খেলতে পারে। দর্শনার্থীরা যেখান দিয়ে ঢুকবেন সেখান দিয়ে বার হবেন না। বার হবেন অন্য পথে।
উদ্যোক্তাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার মজুত রাখতে হবে। কোনও দর্শনার্থীকে মাস্ক ছাড়া দেখলে তাঁর হাতে মাস্ক তুলে দিতে হবে পরার জন্য। স্যানিটাইজার দিতে হবে দর্শনার্থীদের।
প্যান্ডেলে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। যাঁদের কাজ হবে করোনাবিধি সকলে মানছেন কিনা সেদিকে নজর রাখা। সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখানো।
এছাড়া পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জন জাঁকজমকপূর্ণ করা যাবেনা। প্যান্ডেলের কাছে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবেনা।
পুজোর সেরা কারা সে বিচার করে পুরস্কার দেয় অনেক সংস্থা ও সংগঠন। এবার সেই বিচারপর্ব ভার্চুয়ালি করাতেই জোর দিয়েছে নবান্ন।
যদি বিচারকদের প্যান্ডেলে যেতেই হয় তাহলে তাঁদের করোনা বিধি মেনে হাজির হতে হবে। ২টির বেশি গাড়ি এই বিচারপর্বের জন্য আসবে না।
প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পর ভাসানে শহরের সেরা পুজোর প্রতিমা রেড রোডে পুজো কার্নিভালে জায়গা পায়। এক ঝলমলে সন্ধে পুজোর রেশ ধরে রেখে দেয়।
গত বছর সেই কার্নিভাল হতে পারেনি করোনার কারণে। এবার হবে কিনা তা ছিল সকলের প্রশ্ন। নবান্ন এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এবারও সেই কার্নিভাল হচ্ছেনা।