বংশপরম্পরায় বিভিন্ন বারোয়ারির দুর্গা প্রতিমাকে জরির কাজে সাজাচ্ছে এক মুসলিম পরিবার
ধর্ম, জাতির ভেদ এখানে যায় মুছে। বরং একাত্ম হয়ে একাধিক দুর্গা প্রতিমাকে জরির অনন্য সাজে বংশপরম্পরায় সাজিয়ে চলেছে এক মুসলিম পরিবার।
দুর্গাপুজো হিন্দুদের উৎসব। কিন্তু জাতি, ধর্মের যাবতীয় ভেদাভেদ যে এই পুজো মুছে দিতে পারে তা প্রমাণ হয় এক অনন্য উদাহরণে। একটি পুজো বলেই নয়, একের পর এক বারোয়ারি পুজো থেকে প্রতিবছর দুর্গার সাজ বানানোর বরাত পায় এই পরিবার।
একটা শহর বলেই নয়, একটা রাজ্য বলেই নয়, বিভিন্ন শহর তো বটেই এমনকি আশপাশের রাজ্যে হওয়া দুর্গাপুজোর কমিটি থেকে তাদের কাছে আসে দুর্গাকে জরির সাজে সাজিয়ে তোলার বরাত। মৃণ্ময়ী মূর্তিকে অপরূপ করে তুলতে এই আলি পরিবারের জুড়ি নেই।
ওড়িশার কটকের বাঁকা বাজারের বাসিন্দা আসলম আলি। দুর্গাপুজোর আগে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের রাতের ঘুম উড়ে যায়। রাতদিন এক করে চলে জরির কাজ।
তাঁদের পরিবারের কাজ আবার গড়পড়তা হয়না। তাতে থাকে অনন্য ছোঁয়া। নিখুঁত, দক্ষ কারুকার্য ও নতুনত্বের ছোঁয়া তাঁদের জরির মুকুট থেকে জরির সাজসজ্জা সব কিছুকেই অন্য মাত্রা দেয়। যা মুগ্ধ করে সকলকে। তাই বিভিন্ন বারোয়ারি থেকে চাপও থাকে যথেষ্ট।
কটক, ভুবনেশ্বর, রাউরকেলার মত জায়গাগুলি থেকে তো একের পর এক অর্ডার থাকেই। এমনকি হায়দরাবাদ থেকেও দুর্গার সাজের অর্ডার আসে আলি পরিবারের কাছে। যা তারা বংশপরম্পরায় তৈরি করে আসছে।
মৃণ্ময়ী মূর্তির গয়না, সাজসজ্জা তৈরি করাই তাদের পরিবারের বিশেষত্ব। আলি পরিবার তাদের কাজের জন্য এক সময় ব্রিটিশদের থেকেও সম্মানিত হয়েছে।
আর বর্তমানে তাদের পরিবারের এই জরির কাজের অপরূপত্ব মুগ্ধ করে স্বনামধন্য ব্যক্তিদের। তাঁদের কাছ থেকে বাহবা পেয়ে আরও উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে কাজ করে চলে আলি পরিবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা