প্যান্ডেল থেকে ফুচকা খুলে খেয়ে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা, ফুচকার প্যান্ডেল রক্ষাই করা যাচ্ছেনা
দুর্গাপ্রতিমার সঙ্গে প্যান্ডেলের অভিনবত্ব অবশ্যই এক বড় আকর্ষণ। উদ্যোক্তারাও তাই প্যান্ডেলে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ফুচকার প্যান্ডেল বানিয়ে এখন ফাঁপরে উদ্যোক্তারা।
সময় যতই এগোক, যতই নতুন সব জলখাবার বাঙালি জীবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করুক, ফুচকার টান কিন্তু একই থাকবে। এ খাবারটির সঙ্গে বাঙালির শিশু থেকে বৃদ্ধ, পুরুষ থেকে মহিলা সকলের সংযোগ বড়ই আত্মিক। বাঙালির এই ফুচকা প্রেমের কথা মাথায় রেখে এবার ফুচকার প্যান্ডেল তৈরি করেছে বেহালা নূতন দল।
অভিনব ভাবনা সন্দেহ নেই। ফুচকার প্যান্ডেল শুনে ভিড়ও জমছে প্যান্ডেলে। যা অবশ্যই উদ্যোক্তাদের জন্য বড় পাওনা। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।
লক্ষাধিক ফুচকা দিয়ে তৈরি প্যান্ডেলের ফুচকাগুলো বিজয়া পর্যন্ত থাকবে, না দর্শনার্থীদের পেটে চলে যাবে সেটাই এখন ঠাওর করতে পারছেন না বেহালা নূতন দলের পুজো উদ্যোক্তারা।
স্বেচ্ছাসেবীদের ছড়িয়ে দিয়ে, দর্শকদের ফুচকায় হাত দিতে মানা করেও ফল হচ্ছেনা। হাতের নাগালে পেলে প্যান্ডেল থেকে ফুচকা খুলে খেয়ে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা। বারণ করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অনেক সময় ফুচকা খেয়ে নিচ্ছে কচিকাঁচারা। যাদের বারণ করাটাও মুশকিল বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
অনেক দর্শনার্থী আবার ফুচকা প্যান্ডেল থেকে খুলে না খেয়ে ব্যাগে পুরে নিচ্ছেন। সেটা ওই প্যান্ডেলের ফুচকা, এটা স্মৃতি হিসাবে রেখে দেওয়ার জন্য। বাকিদের দেখানোর জন্য।
সব মিলিয়ে এখন বিজয়া পর্যন্ত ফুচকার প্যান্ডেল রক্ষা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে উদ্যোক্তাদের কাছে। লক্ষাধিক ফুচকা ছাড়াও প্যান্ডেল তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে ফুচকার যে শালপাতার বাটি দেওয়া হয় সেগুলি এবং আরও নানা কিছু।