দুর্গাপুজোর অন্যতম অংশ সন্ধিপুজো, সন্ধিপুজোর মাহাত্ম্য ও এবারের সময়
মহাষ্টমীর দিন সকালে পুষ্পাঞ্জলি আর বিকেল, সন্ধেতে বা তিথি অনুযায়ী সন্ধিপুজো আয়োজিত হয়। সন্ধিপুজোর মাহাত্ম্য ও এবার কখন সন্ধিপুজো জেনে নিন।
দুর্গাপুজোয় মহাষ্টমীর দিনটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হয়। এই দিনের পুজোয় আপামরের অংশগ্রহণ নজরকাড়া হয়। পুজোর অন্য দিনগুলোর পুজোয় এত বেশি সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যায়না। সকালে পুষ্পাঞ্জলি দিতে মানুষের ঢল নামে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলে পুষ্পাঞ্জলি।
মহাষ্টমীতে আর এক আকর্ষণ সন্ধিপুজো। সন্ধিপুজো কিন্তু কেবল অষ্টমী তিথিতেই হয়না। হয় অষ্টমী ও নবমী মিলিয়ে। মোট ৪৮ মিনিটের পুজোয় অষ্টমী তিথির একদম শেষের ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিটে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্মের প্রয়োজন পড়ে। যা মায়ের পায়ে নিবেদন করা হয়। ঢাকের বাদ্যির সঙ্গে জ্বলে ওঠে ১০৮টি প্রদীপ। সন্ধিপুজোর দ্বিতীয়ভাগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। তবে এখন অধিকাংশ পুজোতেই আখ, মাসকলাই ইত্যাদি বলি দিয়ে প্রতীকী বলির আয়োজন করা হয়।
সন্ধিপুজোর এই মুহুর্ত বাঙালি জীবনে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এই পুজোয় অংশ নেন অনেকেই। এই পুজো চলাকালীন মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেকেই বিভোর হয়ে যান। অনেকেই মনে করেন এই সন্ধিপুজোর সময় মা যেন স্বয়ং ওই মূর্তিতে জীবন্ত হয়ে ওঠেন।
সন্ধিপুজোয় মা পূজিতা হন দেবী চামুণ্ডা রূপে। পুরাণে বলা হয় ২ অসুর চণ্ড ও মুণ্ডকে দেবী দুর্গা এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন। চণ্ড ও মুণ্ডকে বধ থেকেই দেবী দুর্গার নাম হয় চামুণ্ডা।
সন্ধিপুজো দুর্গাপুজোয় এমন এক ক্ষণ যা প্রতিটি মানুষের মনে কোথাও যেন দেবীর উপস্থিতির জানান দেয়। এবার সন্ধিপুজোর শুরু বিকেল ৪টে ৫৪ মিনিটে আর সমাপন বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে। যদিও দেরিতে পুজো হওয়ায় সন্ধিপুজো বিকেলের আলোয় শুরু হয়ে এবার শেষ হবে সন্ধের মুখে।