
কষ্টটা শুরু হয় নবমীর রাত থেকেই। দশমীর সকালে সেই কষ্টটাই বড় বেশি করে ধরা দেয় মনের কোণায়। শুরু হয় দশমী পুজো। মাকে কৈলাসে ফেরানোর প্রস্তুতি। মায়ের কানে কানে বলা, আসছে বছর আবার এসো মা। মঙ্গলবার সেই বিষাদের চেনা আবহেই সকাল থেকে বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ধুম। মূলত বাড়ির প্রতিমাই এদিন ভাসান হচ্ছে। সন্ধের পর ভাসানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সকাল থেকেই জাজেস ঘাট থেকে শুরু করে নিমতলা, সর্বত্রই বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়ে যায়। অনেক বারোয়ারি থেকে বাড়ির ঠাকুরকে সিঁদুর পরিয়ে সকাল থেকেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন বঙ্গনারী। বিজয়ার সেই রক্তিম খুশি নিজের মত করেই ধরা দিয়েছে। শুধু বাংলা নয়, বাংলার বাইরে দিল্লি থেকে মুম্বই, লন্ডন থেকে কানাডা, সর্বত্রই বিজয়ার সিঁদুর খেলায় মাতোয়ারা বঙ্গবাসী।