দশেরায় আগুন ছাড়াই আকাশের বুকে অন্য রাবণ দহন দেখতে মুখিয়ে মানুষ
দশেরার দিন রাবণ, কুম্ভকর্ণ এবং মেঘনাদের মূর্তি তৈরি করে তাতে আগুন দেওয়া তো সকলেই দেখেছেন। এবার দেখবেন আকাশে রাবণ দহন। তাও আবার আগুন ছাড়াই।
বাংলা যখন বিজয়াদশমীতে বিসর্জন, কোলাকুলি, মিষ্টিমুখে ব্যস্ত থাকে তখন ভারতের বাকি অংশে পালিত হয় দশেরা। যেখানে রামের হাতে রাবণের মৃত্যুকে পুতুল দহনের মধ্যে দিয়ে প্রতীকী অর্থে পালন করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশাল মাঠে হয় এই আয়োজন।
ভারতের নানা প্রান্তে অসংখ্য রাবণ দহন পালিত হলেও তার কয়েকটি বিখ্যাত। যার মধ্যে দিল্লির লালকেল্লার রামলীলা ময়দানের লব কুশ রামলীলা সর্বজন খ্যাত। এখানে বিভিন্ন বছরে প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের দেখতে পাওয়া যায় অংশ নিতে।
এবার এখানে ১০০ ফুট উঁচু রাবণ দহন হবে। যা একটা রেকর্ড। এছাড়া কুম্ভকর্ণকে পাশে সামঞ্জস্য রেখে ৯০ ফুট এবং মেঘনাদের মূর্তি ৮০ ফুটের বানানো হয়েছে। এই মূর্তিগুলিতে প্রতীকী তির নিক্ষেপ করা হয়। তারপরই এক এক করে জ্বলে ওঠে রাবণ, কুম্ভকর্ণ, মেঘনাদের পুতুলগুলি।
মূর্তিগুলি অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ এবং বিভিন্ন বাজি দিয়ে তৈরি করা হয়। সেই রাবণ দহন দেখতে বহু মানুষের ভিড় জমে দশেরার বিকেলে। এবার সেখানে দর্শকদের জন্য আরও বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে।
এবার রামলীলা ময়দানে উপরি পাওনা ডিজিটাল রাবণ দহন। সন্ধের অন্ধকার নামা আকাশে এবার লেজার রশ্মির সাহায্যে এক অপরূপ দৃশ্যপট তৈরি করা হবে। সেখানে ওই লেজার রশ্মির সাহায্যেই তুলে ধরা হবে রাবণ দহন।
এর জন্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিশেষজ্ঞদের দিয়ে অনুশীলন হয়েছে। যাতে দশেরার দিন লেজার শো নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হতে পারে। সেই ডিজিটাল দহন দেখার জন্য এবার মুখিয়ে আছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা