সূর্যের ভেল্কিতে সেদিন মাঝরাতে গান গেয়ে উঠেছিল পাখিরা
সে প্রায় ১৬০ বছর আগের কথা। তবে সেদিন যা হয়েছিল তা এখনও বিজ্ঞানীদের ভাবায়। সেদিন রাতে সূর্যের ভেল্কিতে মাঝরাতেও গান গেয়ে উঠেছিল পাখির দল।
সূর্যের কৃপায় এই পৃথিবী আজও ধাবমান। মানবসভ্যতা নিশ্চিন্ত। কিন্তু সেই সূর্যই মাঝেমধ্যে এমন সব কাণ্ডকারখানা করেছে যা বিজ্ঞানীদেরও হতবাক করে দেয়। যার একটি এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে ক্যারিংটন ইভেন্ট নামে বইয়ের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে রয়ে গেছে। আর যা আজও ভাবিয়ে চলেছে বিজ্ঞানীদের।
সালটা ১৮৬৯। ভারতে তখন ব্রিটিশের আধিপত্য। সে সময় একদিন মধ্যরাতে পৃথিবীর একটি অংশে এক কাণ্ড ঘটে গেল। মাঝরাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে কাঁচা ঘুম ভেঙেই উঠে পড়লেন মানুষজন।
এই মাঝরাতে এত পাখি ডাকছে কেন? পাখিদের তো ভোরে গান গাওয়ার কথা। এই মাঝরাতে কেন। অনেকেই তা দেখতে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। আর তারপর যা দেখেন তা তাঁদের অনেকের চক্ষু স্থির করে দেয়।
দেখা যায় আকাশে আলোর ছটা। যেন সকাল হয়ে গেছে। কিছুক্ষণের এই সূর্যের ঝলক সেদিন অনেক মেশিন নষ্ট করে দিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল সে সময় অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাফ মেশিন। বিশ্বে একটা বড় অংশে একের পর এক টেলিগ্রাফ মেশিন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কেবল সূর্যের তাণ্ডবে।
পৃথিবীর বুকে যে ৪টি সৌর ঝড় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পেরেছে, তার একটি হয়েছিল সেদিন। সূর্যের সেই সৌর ঝড় সেদিন মাঝরাতেও আলোয় ভরে দিয়েছিল আকাশকে।
সেই দৃশ্য দেখতে অবাক করা হলেও আদপে ছিল ভয়ংকর। সৌর ঝড়ের প্রভাব সেদিন আছড়ে পড়েছিল অত দূর থেকে এই পৃথিবীর বুকে।