মহাকাশযানের অহরহ যাতায়াত এবার পৃথিবীর জন্য চিন্তার কারণ হচ্ছে
মহাকাশ গবেষণায় মহাকাশযানগুলির ভূমিকা প্রশ্নাতীত। কিন্তু সেই সব মহাকাশযানই পৃথিবীর জন্য এবার এক নতুন চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মহাকাশ গবেষণায় বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র মহাকাশে যান পাঠাচ্ছে। নানা উদ্দেশ্যে সেগুলি পাড়ি দিচ্ছে মহাকাশে। কখনও অন্য গ্রহের খবর আনতে, কখনও পৃথিবীর চারধারে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করতে, কখনও মহাকাশে থাকা গবেষণাকেন্দ্রে নভশ্চরদের পৌঁছে দিতে, আবার কখনও অন্য গ্রহাণুতে পাড়ি দিচ্ছে যানগুলি।
এগুলি সবই বিজ্ঞানীদের মহাকাশকে আরও বেশি করে চিনতে সাহায্য করছে। কিন্তু এই মহাকাশ যানের অহরহ যাতায়াত এক নতুন চিন্তার কারণ হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার ওপরে থাকা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের আবহাওয়ায় এই মহাকাশযানগুলি ক্রমে বাড়িয়ে দিচ্ছে ধাতব কণা। এখানকার বায়ুকণায় ধাতব কণার অস্তিত্ব বেড়ে চলেছে।
এই পরিবর্তন ক্রমে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের আবহাওয়ার রসায়ন বদলে দিচ্ছে। ডব্লিউবি-৫৭ নামে একটি এরোপ্লেন পাঠিয়ে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের আবহাওয়ার হালহকিকত জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
এভাবে ধাতব কণা বাড়তে থাকা ক্রমে ওজন স্তরে প্রভাব ফেলবে। প্রভাব ফেলবে পৃথিবীর যে বায়ুস্তর রয়েছে তার ওপরও। এটা এখন বিজ্ঞানীদের বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
মহাকাশ গবেষণায় মহাকাশযানের যে আরও মহাকাশে যাওয়া বাড়াবে তা নাসা বা ইসরোর মত সংস্থাগুলির আগামী দিনের পরিকল্পনা থেকে স্পষ্ট। কিন্তু সেই মহাকাশযান যদি মহাকাশকে চেনানোর পাশাপাশি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের এভাবে ক্ষতি করতে থাকে তাহলে তো চিন্তার। এর থেকে মুক্তির উপায় তাই দ্রুত বিজ্ঞানীদের খুঁজে বার করতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা