বদলে যাবে ভূগোল, পৃথিবীর মাটির তলায় অনন্য জিনিসের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
এ আবিষ্কার পৃথিবী সম্বন্ধে ধারনা বদলে দিতে পারে। পৃথিবীর পেটের মধ্যে এক অনন্য জিনিসের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা মাটির উপরে যা দেখা যাচ্ছে তার চেয়েও এটা অনেক বড়।
ভূগোলে এতদিনের জ্ঞান বদলে যেতে হয়তো আর বেশি দেরি নেই। কারণ যে খোঁজ বিজ্ঞানীরা পেলেন তা মানুষের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবিষ্কার সবসময়ই চমক দেয়। কিন্তু পৃথিবীর পেটের মধ্যে এ যার খোঁজ বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন তাকে শুধু চমক বললেও ছোট করা হয়।
এ এক মহান আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের। ইলিনয়ের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি-র বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পৃথিবীর উপরিভাগের ৭০০ কিলোমিটার গভীরে এক সমুদ্র রয়েছে।
সমুদ্র বললে কম বলা হয়। অতি বিশাল মহাসমুদ্র। যা পৃথিবীর উপরিভাগে দেখতে পাওয়া মহাসমুদ্রের চেয়ে ৩ গুণ বড়। এই বিপুল জলভাগ রয়েছে পৃথিবীর মাটির তলায়।
পৃথিবীতে জল এল কোথা থেকে তা জানার চেষ্টা করতে গিয়েই এই অনন্য খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। এতদিনে কিন্তু এটা জানা সম্ভব হয়নি যে পৃথিবীর পেটের মধ্যে এমন এক অতি বিপুল পরিমাণ জল সঞ্চিত রয়েছে।
পৃথিবীর মাটির তলায় ৭০০ কিলোমিটার গভীরে রিংউডাইট নামে এক ধরনের নীল পাথরের আড়ালে রয়েছে এই জলভাগ। মনে করা হয় পৃথিবীতে জল এসেছিল মহাকাশ থেকে। এমন একটা ধারনা প্রচলিত। কিন্তু এখন সে ধারনা বদলে দিতে পারে এই আবিষ্কার।
এই আবিষ্কারের পর এখন বিজ্ঞানীদের মনে হতে শুরু করেছে বাইরে থেকে নয়, পৃথিবীর এই বিশাল জলভাগ যা সকলে দেখতে পাই তা এসেছে পৃথিবীরই পেট থেকে। সেখান থেকেই জল উপরে এসেছে। যা এখন সমুদ্র, মহাসমুদ্র হিসাবে সকলে দেখতে পান।
বিজ্ঞানীরা শত শত সিসমিক তরঙ্গ পর্যালোচনা করে দেখার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে পৃথিবীর পেটে এমন এক বিপুল মহাসমুদ্র অবস্থান করছে। কারণ পৃথিবীর অনেক গভীরে তৈরি হওয়া সিসমিক তরঙ্গের গতি কমে যায় যখন তা কোনও ভিজে পাথরের ওপর দিয়ে যায়। সেটাই বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেন।