পৃথিবীতে অক্সিজেন প্রায় ছিলনা, এল কোথা থেকে, রহস্যের জট ছাড়াল গবেষণা
বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন লাগবেই। সেই প্রাণের মূল শর্ত অক্সিজেনই প্রায় ছিলনা এ পৃথিবীতে। পরে তা এল কোথা থেকে, সে রহস্যের সমাধান করলেন গবেষকেরা।
৫০০ মিলিয়ন বছর আগের কথা। সহজ করে বললে ৫০ কোটি বছর আগে এ পৃথিবী ছিল ঠিকই, তবে সেখানে অক্সিজেন ছিল নামমাত্র। যেটা ছিল সেটা কার্বন ডাই অক্সাইড। যা প্রাণের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে যায়। অক্সিজেন ছাড়া প্রাণের ব্যাপ্তি অসম্ভব। ফলে সে সময়টা পৃথিবীর বুকে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য একেবারেই সুযোগ্য ছিলনা।
তাহলে ৫০ কোটি বছরের মধ্যে সব কিছু এভাবে বদলে গেল কীভাবে? এবার সেই রহস্যের জট ছাড়ালেন বিজ্ঞানীরা। সাইরাকিউস বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় এই রহস্যের সমাধান সামনে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ৫০ কোটি বছর ধরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল, মহাসমুদ্র ও জীবন একসঙ্গে পৃথিবীকে প্রাণের বাসযোগ্য করে তুলেছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ৫৪ কোটি বছর আগেও পৃথিবী জুড়ে প্রচুর পরিমাণে ছিল কার্বন ডাই অক্সাইড। অক্সিজেন প্রায় ছিলনা বললেই চলে।
এই সময় থেকে মহাসমুদ্রের শৈবাল এক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করে। শৈবাল বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিতে থাকে। সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতি মেনে তারা বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড যেমন শুষে নিতে থাকে, তেমনই বাতাসে অক্সিজেন ছাড়তে থাকে।
ক্রমে প্রাণের সঞ্চার হতে থাকে। আগেই যে প্রাণ ছিল তা তা ধরণ বদলে ফেলতে থাকে। কারণ অক্সিজেন বাড়ায় সমুদ্রের জলে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তনও ঘটতে শুরু করেছিল। যা আবার প্রাণিদের পক্ষে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিলনা।
ক্রমে অবশ্য সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতি মহাসমুদ্রের হাত ধরে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে থাকে। তবে গবেষকেরা মনে করছেন আরও এ নিয়ে গবেষণার দরকার আছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা