আর ২৫ বছর পর খাবার পাওয়া দুষ্কর হবে, রাতের ঘুম কাড়ল হাড় হিম করা তথ্য
মানুষ তো জল আর খাবার খেয়ে বেঁচে আছে। সেটাই যদি না পাওয়া যায় তাহলে বিশ্বজুড়ে যে খাদ্যের হাহাকার শুরু হবে তা দেখার জন্য ২৫ বছরই যথেষ্ট।
এখনই বাজারে গেলে আনাজপাতির দাম শুনলে আঁতকে ওঠেন অনেকে। কম কিনে কোনওরকমে চালিয়ে নেন। এখনই যদি একাংশের মানুষের এমন অবস্থা তাহলে আর ২৫ বছরের মধ্যে তাঁরা কি করবেন! কোথায় যাবেন!
কারণ ২৫ বছরের মধ্যেই পৃথিবীর খাবার যোগ্য জিনিসের উৎপাদন অর্ধেক হয়ে যেতে চলেছে। এমনই হাড় হিম করা রিপোর্ট সামনে এসেছে। এজন্য বিশ্বের জলচক্রকে বিশেষ করে কাঠগড়ায় চাপানো হয়েছে।
কারণ আবহাওয়ার বদল এবং খামখেয়ালি আচরণ, জলের ধ্বংসাত্মক ব্যবহার, জমির যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা, এ সবই প্রভাব ফেলবে আগামী দিনের খাদ্য উৎপাদনে। অনেক জমি শুকিয়ে যেতে চলেছে বলেই উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।
জলের চরম অভাবে শুকিয়ে যাওয়া একটা বড় অংশের জমিতে খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হবেনা। যে দ্রুততার সঙ্গে সেদিকে এগিয়ে চলেছে পৃথিবী তাতে খাদ্য উৎপাদন অর্ধেক হতে চলেছে ২০৫০ সালের মধ্যে।
এমন হলে তথাকথিত দরিদ্র দেশের মানুষ কীভাবে খাবার পাবেন তা পরিস্কার নয়। এমনকি ধনী দেশগুলিও এই খাদ্যাভাবের প্রভাব থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবেনা। খাবারের হাহাকার ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বজুড়ে। যা কার্যত মানুষের জীবন রক্ষার প্রাথমিক শর্তকে ভেঙে দেবে।
খাবার না পেলে কিন্তু যে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা অকল্পনীয়। তাই মানুষকে দ্রুত নিজেদের শুধরে পৃথিবীর আবহাওয়াকে ফের সুজলা সুফলা করে তুলতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা