সুযোগ ছাড়বেন না, এই চাঁদকে আবার দেখা যাবে ২০৪৩ সালে
২০৪৩ সালের আগে এই চাঁদকে আর দেখা যাবেনা। তাই এই পূর্ণিমার চাঁদকে একবার চর্মচক্ষে দেখার সুযোগ ছাড়াটা বোধহয় উচিত হবেনা।
বছরের শেষ পূর্ণিমা। এদিন সেই চাঁদকে দেখা যাবে আকাশে। যাকে ঠান্ডা চাঁদ বলা হয়। আবার একে বরফ চাঁদ বলেও ডাকা হয়। বরফ চাঁদ মানে কিন্তু বরফের মত দেখতে চাঁদ নয়। পূর্ণিমার চাঁদকে সেই গোলাকার উজ্জ্বলই লাগবে।
তবে এই পূর্ণিমার চাঁদের একটা আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এই চাঁদকে এদিন দেখা যাওয়ার পর আবার দেখা যাবে ২০৪৩ সালে। কারণ এ চাঁদ ১৮ বছর ৬ মাস পরপরই দেখা যায়।
চাঁদ তো সামনের পূর্ণিমাতেও ফের দেখা যাবে গোলাকার উজ্জ্বল রূপে। তাহলে এই পূর্ণিমার চাঁদ কেন ২০৪৩ সালে আবার দেখা দেবে? এটা এক মহাজাগতিক ঘটনা।
চাঁদ তার কক্ষে ঘুরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এই কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সে পৃথিবীর সঙ্গে নানা দূরত্ব যেমন তৈরি করে তেমনই তার অবস্থানও বদলাতে থাকে। এভাবে চাঁদ একসময় পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষিণ ও সবচেয়ে উত্তর দিগন্তে গিয়ে পৌঁছে যায়।
এবার চাঁদ পৌঁছে গেছে সবচেয়ে উত্তর দিগন্তে। যাকে বলা হয় মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল। এটি প্রতি ১৮ বছর ৬ মাসে একবার করে হয়। তখন তা সবচেয়ে বেশি দিগন্ত ঘেঁষে নজর কাড়ে।
এবার উত্তর দিগন্তে নজর কাড়তে চলেছে বরফ চাঁদ। এর বেশি উত্তর দিগন্তে আর ঝুঁকবে না সে। বরং ক্রমে তার অবস্থান বদলে যাবে। একসময় তাকে দেখা যাবে এভাবেই দক্ষিণ দিগন্তে।
এবার উত্তর দিগন্তে ঝোঁকা যে চাঁদকে পৃথিবীর মানুষ দেখতে পাবেন সেইখানে ফের চাঁদকে দেখা যাবে ২০৪৩ সালে। তাই এই চাঁদকে একবার চোখের দেখা দেখে নেওয়া যেতেই পারে।