গতি হারাচ্ছে সমুদ্রের জলের শক্তিশালী স্রোত, অশনিসংকেত দেখছেন বিজ্ঞানীরা
বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে আবহাওয়া বদলাচ্ছে, প্রকৃতি বদলাচ্ছে। এরমধ্যেই এক হাড় হিম করা তথ্য সামনে এল। গতি হারাচ্ছে সমুদ্রের জলের সবচেয়ে শক্তিশালী স্রোতটি।

বদলে যেতে পারে হাওয়ার পরিস্থিতি। সমুদ্রের জলের নোনতা ভাব অনেকটা কমে যেতে পারে। সমুদ্র আরও গরম হতে পারে। জল বেড়ে যেতে পারে। জীবনটাই বদলে যেতে পারে সমুদ্রের মাছ থেকে প্রাণিদের। এমনই অশনিসংকেতে রাতের ঘুম উড়েছে বিজ্ঞানীদের।
কারণ বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে যত স্রোত রয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী স্রোতটাই তার গতি হারাচ্ছে। অ্যান্টার্কটিক সারকামপোলার কারেন্ট বা এসিসি হল সেই সমুদ্রের জলের স্রোত যা সবচেয়ে গতিশীল মহাসাগরীয় স্রোত হিসাবে পরিচিত।
এই স্রোত প্রশান্ত, আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরের চরিত্রকে ধরে রেখে দিয়েছে। কিন্তু এই স্রোত যত কমবে ততই চরিত্র বদলে যাবে মহাসাগরগুলির। এখন প্রশ্ন হল কেন কমছে এই স্রোতের গতি?
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া একটি গবেষণা বলছে, এর প্রধান কারণ অ্যান্টার্কটিকার জমাট বরফের চাঁই গলছে। গলে প্রচুর পরিমাণে পরিস্কার জলের জন্ম দিচ্ছে। সেই জল সমুদ্রে মিশছে। ফলে সমুদ্রের চরিত্র বদলে যাচ্ছে। কমছে এসিসি-র স্রোতের স্বাভাবিক গতি।
যত বরফগলা জল বাড়বে ততই এই স্রোতের গতি কমতে থাকবে। ২০৫০ সালের মধ্যেই এসিসি-র গতি ২০ শতাংশ কমে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। পৃথিবীজুড়ে যেভাবে কার্বন নির্গমন বেড়েই চলেছে তাতে এটাই হওয়ার বলে নিশ্চিত তাঁরা।
আর এই গতি কমলে সমুদ্রের জলের নোনতা ভাব কমবে। সমুদ্রে জলস্ফীতি দেখা দেবে। বদলে যাবে সমুদ্রের চেনা চরিত্র। ফলে সামুদ্রিক জীবন সংকটের মুখে পড়বে। আর সমুদ্রের জল বাড়ার ফল মানুষকেও নানাভাবে ভুগতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা