বুধবার সকালে কাঁপল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ। কাঁপল কলকাতাও। তবে যেটুকু জানা যাচ্ছে তাতে উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্পের প্রভাব ছিল বেশি। কম্পন অনুভূত হয়েছেও বেশি। বুধবার বেলা ১০টা ২০ নাগাদ উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল অসমের কোকরাঝাড়। মাটি থেকে ১৩ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর কেন্দ্রস্থল। কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। খাতায় কলমে এমন কম্পনের অর্থ এটা মাঝারি ভূমিকম্প। কিন্তু যেভাবে এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশ কেঁপে ওঠে তাতে আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই দ্রুত বাড়ি, অফিস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন খোলা যায়গায়। প্রায় ২৫ সেকেন্ডের মত কম্পন চলার পর যখন তা থামে তারপরও আতঙ্কে অনেকে বাড়ি বা অফিসের মধ্যে যেতে চাননি। সকলেরই ভয় ছিল যদি ফের আফটার শক হয়!
এদিন ভূমিকম্পের বলি হয়েছেন ১ যুবক। তিনি শিলিগুড়ির একটি বহুতলে ছিলেন। সেখান থেকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসতে থাকেন সম্রাট দাস নামে ওই যুবক। আতঙ্ক এতটাই পেয়ে বসেছিল যে অতিরিক্ত মাত্রায় তাড়াতাড়ি নামতে যান তিনি। ফলে টাল সামলাতে না পেরে সিঁড়িতেই উল্টে পড়েন। আহত ওই যুবককে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
কলকাতাতেও এদিন কম্পন অনুভূত হয়। তবে সবাই যে অনুভব করতে পেরেছেন তা নয়। তবে কম্পনের খবর ছড়াতে অনেকেই অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। অনেকে আবার সামান্য বুঝতেও পারেন কম্পনের প্রভাব।
এদিন কম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে উত্তরবঙ্গেই। এছাড়াও বিহার, অসম, মেঘালয়, সিকিমে কম্পন অনুভূত হয়। কম্পন অনুভূত হয় ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমারেও। তবে কোনও আফটার শক অনুভূত হয়নি।